কলকাতা: গোটা বিশ্বজুড়ে জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে৷ দেশের পরিস্থিতিও ভয়াবহ৷ জল কিনতে ঘটি-বাটি পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন দক্ষিণে ভারতের বাসান্দারা৷ জলের জন্য এই হাহাকার রুখতে এবার জল বাঁচানোর ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘোষণা করলেন বাংলার নয়া কর্মসূচি৷ আগামী ১২ জুলাই ‘জল বাঁচাও’ দিবস পালন করবে রাজ্য সরকার৷ জল অপচয় রুখতে সচেতনতা মূলক প্রচার করা হবে৷ ওই দিন জোড়শাঁকো থেকে গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
দেশ জুড়ে জলের সঙ্কট যে হারে বাড়ছে তা নিয়ে বিধানসভায় আগেই উদ্বগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চেন্নাইয়ে জল পাওয়া যাচ্ছে না৷ জলের জন্য হস্টেল বন্ধ করে দেওয়া যাচ্ছে৷ এখনই জল অপচয় বন্ধ করার কাজে সকলকেই সচেতন হতে হবে৷ আসুন, আমরা সকলে সভায়, বৈঠকে, মিটিংয়ে বক্তৃতার মধ্যে এক মিনিট করে জনগণকে আপিল করি৷’’
তীব্র জল সঙ্কট দক্ষিণ ভারতকে ক্রমশ গিয়ে যাচ্ছে আরও অবনতির দিকে৷ পরিস্থিতি যা, তাতে জল কিনতে বাড়ির ঘটি-বাটি বেচে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দারা৷ ১০-১২টাকার পাওয়া জলের ট্যাঙ্ক এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়৷
তবে, টাকা দিলেও যে বাড়িতে জল পাওয়া যাবে, তা নয়৷ জল পৌঁছতে সময় লাগবে এক মাস৷ জলসঙ্কটের কারণে শহরে বন্ধ একাধিক হোটেল৷ জল বাঁচাতে কাগজের প্লেটে ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা৷ যাতে থালা-বাসন ঝুতে জল প্রয়োজন না হয়৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, ৯ হাজার লিটার জলের দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে শুরু করেছে৷ কুয়ো থেকে লটারি করে জল দেওয়া হচ্ছে৷ সরকারি জল সরবরাহ আগেই লাটে উঠেছে৷ বাইরে থেকে চড়া দামে জল কিনতে হচ্ছে বাসিন্দাদের৷ বাড়ির আসবাবপত্রও বেচে দিতে হচ্ছেন বাসিন্দারা৷ জল অপচয় বন্ধ না করলে ও পরিবেশরক্ষায় নজর না দিলে সারা দেশেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে, সেই দিন আর খুব দূরে নয়৷