বারাসত: বড়মা বীণাপাণিদেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়ে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়লেন চারবার দলবদল করা বিধায়ক দুলাল বর৷ জনরোষের জেরে তড়িঘড়ি ঠাকুরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন তৃণমূল, তারপর কংগ্রেস, পরে আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দুলাল বর৷ তবে, ঠাকুর বাড়ি থেকে চম্পট দেওয়ার আগে দুলালের মন্তব্য, ‘‘আমি একজন মতুয়া হয়ে এখানে এসেছিলাম৷ বড়মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম৷’’
ঠাকুরবাড়ির একাংশের অভিযোগ, বড়মার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছিলেন বিজেপির দুলাল৷ অভিযোগ, দুলালের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একালাকা ছাড়েন তিনি৷
এমনিতেই সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণিদেবীর মৃত্যুর পরে তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে চলেছিল চরম রাজনৈতিক টানাপোড়েন। দেহর ‘দখল’ নিয়ে রীতিমতো দুই শিবিরের মধ্যে চলেছিল ‘দড়ি টানাটানি’। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বড়মার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নিয়েও চলল ‘রাজনীতি’। শুক্রবার বেনজিরভাবে একই ঠাকুরবাড়িতে প্রয়াত বড়মার দু’-দু’টি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হল! একদিকে, বড়মার ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন। অন্যদিকে, ভক্তদের নিয়ে পৃথক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন পুত্রবধূ তথা তৃণমূল সংসদ সদস্য মমতাবালা ঠাকুর। এহেন দৃশ্য দেখে অনেকেই হতবাক।