কলকাতা: মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষকে বুধবার ডেকে পাঠাল সিবিআই। সারদা মামলা যখন প্রকাশ্যে আসে তখন তিনি বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিডিডি ছিলেন। রাজ্য সরকারের সারদা মামলার জন্য গঠিত সিটের সদস্য ছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে বুধবার ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবারই তাকে নোটিশ দেওয়া হয়৷ শোনা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দরের তালিকায় ছিলেন এই পুলিশ কর্তা৷
কেন সিজার লিস্টে উল্লেখ ছিল না সারদার লাল ডায়েরি ও পেন ড্রাইভ? আদৌ কি তা পাওয়া গিয়েছিল? পাওয়া গিয়ে থাকলে কেন তা সাজার লিস্টে (উদ্ধার হওয়ার সামগ্রীর বিবরণ) উল্লেখ করা হল না? এই প্রশ্ন তুলে সারদা মামলার প্রথম তদন্তকারি আধিকারিক আইও প্রভাকর নাথকে বসিয়ে জেরা শুরু করে সিবিআই৷ এবার তদন্তকারী আধিকারিক দিলীপ হাজরাকে জেরা করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে সিবিআই৷
আজ সকালে আইও প্রভাকর নাথকে বসিয়ে দফায় দফায় জেরা করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অধিকারিকরা৷ সিজিও দপ্তরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লির তদন্তকারী আধিকারিকদেরও জেরায় সামিল করা হয়৷ জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সূত্র ও জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুই পুলিশ আধিকারিককে জেরা করে সিবিআই৷ গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া রেকর্ড করে রাখার কাজ চলে৷ ঘণ্টা তিনেক জেরার পর আইও প্রভাকর নাথকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পরে ফের তাঁকে জেরা করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়৷ অন্যদিকে তদন্তকারী আধিকারিক দিলীপ হাজরাকে ডাকা হলেও তিনি সকাল ১১টা পর্যন্ত পৌঁছনি বলে জানা গিয়েছে৷
সিবিআই সূত্রের খবর,সারদাকাণ্ডে তত্কালীন তদন্তকারী অফিসার বিধাননগর পুলিশের তত্কালীন ডিসি ডিডি অর্ণব ঘোষ, তদন্তকারী আধিকারিক দিলীপ হাজরা, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রভাকর নাথ, শঙ্কর ভট্টাচার্য, পিনাকী রায়কে আগেই তলব করে সিবিআই৷ সারদা কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তত্কালীন বিধান নগর কমিশনারেটের কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেন, সেই সিটের সদস্য ছিলেন তাঁরা৷ সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়দের জিজ্ঞাসাবাদেও করেন সিটের সদস্যরা৷ সেই সূত্রে ধরে আজ শুরু হয়েছে জেরা পর্ব৷