কলকাতা: সরদাকাণ্ডে ফের গতি বাড়াল সিবিআই৷ সারদাকাণ্ডের তদন্তে গঠিত সিটের অন্যতম সদস্য বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর দিলীপ হাজরাকে প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের৷ আজ, তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়৷ জেরায় সরদাকর্তার গ্রেপ্তারি পর্বের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়৷ গত ৪ জুন সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন দিলীপ হাজরা৷ ওই দিন তাঁকে ৫ ঘণ্টা ধরে জেরা করে সিবিআই৷ তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷
গত জুলাইয়ে কলকাতা সফরে এসে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও সারদা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে৷ ওই বৈঠকের পর সারদাতদন্তে গঠিত রাজ্য সরকারের তৈরি করা সিটের তদন্তকারীদের জেরা পর্ব শুরু করে সিবিআই৷ তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ থেকে শুরু করে সরদা মামলার আইও দিলীপ হাজরাকে কয়েক দফা জেরা করা হয়৷ জেরা পর্ব শেষ হওয়ার পর সিবিআই দপ্তরে গিয়ে ৮ ট্রাঙ্ক ভর্তি নথিপত্র জমা দিয়ে আসেন দিলীপ৷
সুদীপ্ত সেনার পলায়নপর্বে সিটের প্রতিনিধিরা কাশ্মীর থেকে সরদাকর্তাকে গ্রেপ্তার করে৷ ওই দলে ছিলেন দিলীপবাবুও৷ আর সেই সূত্র ধরে সুদীপ্তের গ্রেপ্তারি পর্বের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয় জেরায়৷ সুদীপ্ত সেনের আত্মগোপন পর্বের পুরোটাই রহস্যে মোড়া! কলকাতা ছাড়ার আগে তিনি দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত গেস্ট হাউসে এসেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পারেছে সিবিআই৷ সেখানে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেন বলেও খবর৷ তাঁদের সঙ্গে সারদাকর্তার দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়৷ ওই বৈঠকে কারা ছিলেন, তাঁকে কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তা অনেকদিন আগেই সিবিআই জেনে গিয়েছে৷ সেখান সূত্র ধরে তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা জানার চেষ্টা করছিলেন, সুদীপ্ত যে পালিয়ে যাবেন, এটা কারা কারা জানতেন? আদৌও কি কেউ তা জানত? এই কাজে তাঁকে কারা কারা সাহায্য করেন? ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত তথ্যের সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে সিবিআই৷
অন্যদিকে, আজ নারদকাণ্ডে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই৷ এই প্রথম নরদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার সাড়ে তিন বছর পর এই প্রথম গ্রেপ্তারি সিবিআইয়ের৷ নারদহুলে বিদ্ধ ধৃত মির্জার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘নারদকর্তা ম্যাথুকে অপরাধী বলে প্রমাণের বহু চেষ্টা করা হয়েছে৷ নরদকাণ্ডে সিবিআই সঠিক পথেই যাত্রা শুরু করে দিয়েছে৷ আমরা চাই, তদন্তের গতি এভাবেই এগতে থাকুক৷’’