কলকাতা: আলিপুর আদালতে শুনানি শেষ৷ আর কিছুক্ষণ পর মামলার রায়৷ রাজীব কুমারের কোনও হদিস মিলছে না৷ তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে না রাজ্য সরকার৷ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের আইনজীবীর৷ দাউদ ইব্রাহিমের প্রসঙ্গ টেটে রাজীব কুমার মামলায় সওয়াল সিবিআইয়ের৷
এদিন আলিপুর আদালতে মামলার শুনানিতে দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রসঙ্গ রাজীবের বিরুদ্ধে একাই ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়৷ পাল্টা দাউদ ইব্রাহিম মামলার নথি চান রাজীবের আইনজীবী৷ ‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে হাইকোর্ট সমস্ত ক্ষমতা দিয়েছে৷ তাও কেন জামিন অযোগ্য পরোয়ানা চাইছেন?’ সিবিআইকে প্রশ্ন আলিপুর আদালতের৷ জবাবে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ‘পলাতক রাজীব৷ তদন্ত সহযোগিতা করছে না৷ ফলে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা প্রয়োজন৷’
আইনিভাবে বেআইনি কাজ করতে চাই সিবিআই৷ রাজিব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না, তা জেনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করছে সিবিআই৷ আদালতে সওয়াল রাজীবের আইনজীবীর৷ এদিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে ৪০ মিনিট সওয়াল করা হয়৷ রাজীবের আইনজীবী ২০ মিনিট সওয়াল করেন৷ উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থাগিত রাখে আলিপুর আদালত৷
অন্যদিকে, অমিত-মমতার বৈঠক শেষ হতে না হতেই রাজীব কুমারের খোঁজে আর তৎপরতা বাড়াল সিবিআই! আজ দুপুরে এবার সিজিও কমপ্লেক্সে থেকে সরাসরি আলিপুরের আইপিএস কোয়ার্টারে হানা দেওয়ার পর এবার ভিভান্তা বিলাসবহুল হোটেল দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান শুরু সিবিআইয়ের৷ সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের নামে আরও এক দফায় কড়া ধারায় নোটিস দেওয়া হয়৷
সূত্রের খবর, আজ ৪ জনের সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল রাজীব কুমারের সন্ধানে আলিপুরের আইপিএস কোয়ার্টারে তল্লাসি অভিযানে নামেন৷ কোয়ার্টারের মধ্যে ঢুকে শুরু করেন তল্লাশি অভিযান৷ সেখানে থেকে চলে যান ভিভান্তা বিলাসবহুল হোটেল৷ সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে হোটেলের আধিকারিকদের জেরা করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা৷ হোটেলের রান্না ঘরের পথ ধরে তাঁরা প্রবেশ করেন৷ সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি৷ গোটা ঘটনায় চূড়ান্ত সহযোগিতা করেন হোটেল কর্মীরা৷ পরে, আধঘণ্টা পর সেখান থেকে বেড়িয়ে যান আধিকারকা৷