আজ বিকেল: ঘাসফুল ছেড়ে ফুলকপি, সাতসকালে এমন কিছু দেখলে চমকাবেন বইকি। তবে কপাল ভাল আপনি বাংলার বাসিন্দা, তাই এমন উলটপুরাণ দেখতে হল না। তাইবলে কি তৃণমূলের নামে ফুলকপিকে প্রতীক হিসেবে ধরতে হবে। আরে কোনওরকম গাঁজাখুড়ি গপ্প নয়, এমনটাই ঘটেছে ২০১৬-তে।
সালটা ২০১৪, ২০ বছরের তৃণমূল তখনও জাতীয় দলের মর্যাদা পায়নি। যদিও সব জায়গায় দলের নাম হিসেবে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসই লেখা হত। ওই বছর লোকসভা নির্বাচনে কেরলে চারটি আসনে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। না জিতলেও জোড়াফুল প্রতীক চিহ্নেই ওই প্রার্থীরা লড়েছিলেন। এদিকে ২০১৬-তে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দের মর্যাদা পায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেবার কেরলের ১৪০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ১২৪ আসনে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কিন্তু নমিনেশনের ফর্ম ফিলআপের সময় তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট এক নম্বর ওয়ান ফর্মটি ভুলে যান। সেকারণে প্রতীক ছাড়াই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। তাই তৃণমূল হিসেবে নয় ফুলকপি চিহ্নে তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার অনুমতি মেলে। রাতারাতি কেরলের রাস্তায় প্রার্থীর সমর্থনে জোড়াফুলের উপরে ফুলকপির ছাপ পড়ে। তবে রাজ্যের কোনও তৃণমূল নেতৃত্বই ফুলকপির সমর্থনে সেবার কেরলে প্রচারে যাননি।