left
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য জুড়ে ‘ইনসাফ যাত্রা’র পর ডিওয়াইএফআই-এর ডাকে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে। যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম তথা বামেরা। ‘ইনসাফ যাত্রা’য় যথেষ্ট সাড়া পেয়েছে সিপিএম। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বামেদের বিভিন্ন কর্মসূচি উপলক্ষে ভিড় উপচে পড়েছে। কিন্তু ভোটবাক্সে তার ফল সেভাবে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড সমাবেশ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে আলিমুদ্দিন। উল্লেখ্য একটানা ৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছে সিপিএম তথা বামেরা। কিন্তু ২০১১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে ক্রমশ তাদের শক্তি কমতে কমতে এখন তা অনেকটাই কমেছে। লাল রং যে সত্যিই ফিকে হয়েছে সেটা একের পর এক নির্বাচনের ফলে স্পষ্ট। বামের ভোট চলে গিয়েছে রামে।
রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারলেও রেড ব্রিগেডকে দূরে সরিয়ে তারাই প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। কিন্তু মাঠে-ময়দানের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে প্রবলভাবে বামেদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাক লাগানো ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল বামেরা। কিন্তু ভোটবাক্স সিপিএমকে খালি হাতেই ফিরিয়েছে। একুশের নির্বাচনে তারা শূন্য হয়ে গিয়েছে। এরপর একাধিক বিধানসভা, লোকসভার উপ-নির্বাচন বা পুরসভার নির্বাচনগুলিতে সিপিএমের ভোট বাড়লেও সেটি প্রার্থীদের জেতানোর মতো যথেষ্ট ছিল না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিপিএম প্রার্থীদের হারতে হয়েছে। তবে গত পঞ্চায়েত ভোটে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিপিএম। সংখ্যালঘু ভোটের একাংশ পঞ্চায়েতে বামেদের দিকে ফিরেছে। যা ভরসা জোগাচ্ছে তাদের।
এই পরিস্থিতিতে যুবনেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ব্রিগেড সমাবেশ করছে বামেরা। ইতিমধ্যেই সিপিএমের ‘ফায়ার ব্র্যান্ড’ যুবনেত্রী মীনাক্ষির নাম বাংলার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। সিপিএমের দাবি মীনাক্ষির নেতৃত্বে যেভাবে রাস্তায় রয়েছে ডিওয়াইএফআই, তাতে আশাবাদী আলিমুদ্দিন। রাজ্যের তৃণমূল বা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সিপিএম যেভাবে পথে নামছে, যেভাবে তারা সাড়া পাচ্ছে তা এবার ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয় কিনা তা সময়ই বলবে। প্রবীণ রাজনীতিবিদরা বারবার বলে থাকেন রাস্তাই রাস্তা দেখায়। অর্থাৎ মানুষের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের উপরে জোর দেন সকলেই। এই পরিস্থিতিতে প্রবলভাবে মাঠে-ময়দানে থাকা সিপিএম ভোটবাক্সে তার ফসল তুলতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার। তাই রবিবার ব্রিগেডে উপচে পড়া ভিড় হলে আর আত্মতুষ্ট হতে চাইছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের একটাই লক্ষ্য সেই ভিড়ের প্রভাব ভোটবাক্সে নিয়ে আসা। তাতে তাঁরা সফল হন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।