দেশদ্রোহী বলা! জল ছুঁড়ে রাগ মেটালেন কংগ্রেস নেতা

আজ বিকেল: কয়েকদিন আগেই মোদির গুন গাইতে গিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনাকে মোদির সেনা বলে উল্লেখ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী রাজনীতিকরা যোগীকে ক্ষমা চাইতে বলেন, তাঁদের দাবি ভারতীয় সেনাকে অপমান করেছেন যোগী। সেনার এত বছরের ডেডিকেশনকে একলহমায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন একজনই সেনাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন। এই

দেশদ্রোহী বলা! জল ছুঁড়ে রাগ মেটালেন কংগ্রেস নেতা

আজ বিকেল: কয়েকদিন আগেই মোদির গুন গাইতে গিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনাকে মোদির সেনা বলে উল্লেখ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী রাজনীতিকরা যোগীকে ক্ষমা চাইতে বলেন, তাঁদের দাবি ভারতীয় সেনাকে অপমান করেছেন যোগী। সেনার এত বছরের ডেডিকেশনকে একলহমায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন একজনই সেনাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন। এই বিতর্ককে উসকে দিতেই আজ এক টিভি চ্যানেলের আলোচনায় আসেন কংগ্রেস ও বিজেপির মুখপাত্র। বিতর্ক শুরু হতেই তা গড়িয়ে গড়িয়ে জলে গিয়ে পড়ল।

পুলওয়ামা কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের ৭োভের শেষ নেই। রাষ্ট্রপতি শাসিত একটি সংবেদনশীল এলাকায় কেন পুলিশ সক্রিয় ছিল না। কীকরে আর্ডিএক্স বোঝাই গাড়ি নিয়ে জঙ্গি ঢুকে পড়ল সেনার কনভয়ে। তার জবাব দিতে পারেনি কেন্দ্র। উলটে পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে জঙ্গিনিধনের গল্প শুনিয়েছে। বিরোধীরা সেই গল্প মানতে পারেনি, বক্তব্যের স্বপক্ষে নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ চাইতেই শুরু হয়েছে গোলযোগ। বিরোধীদের দাবি মিথ্যে বলছে কেন্দ্র। এরপরেই পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কংগ্রেসকে উল্লেখ করতে থাকে বিজেপির বিভিন্ন নেতারা। বিষয়টি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এদিনের বিতর্ক সভায় ফের কংগ্রেস মুখপাত্র আরকে শর্মাকে আক্রমণ করেন বিজেপির কে কে শর্মা। এদিন বার চারেক তাঁকে দেশদ্রোহী বলা হয়। অনুষ্ঠানের সময় কোনওক্রমে নিজের রাগ হজম করছিলেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু পাঁচবারের পর আর সামলাতে পারলেন না, সামনে রাখা জলের গ্লাস ছুঁড়ে দিলেন কে কে শর্মার দিকে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় জলীয় বাণ থেকে বেঁচে যান বিজেপির মুখপাত্র। জল গিয়ে পড়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সন্দীপ চৌধুরির গায়। পোশাক বদলে এসে ফের শুরু হয় বিতর্ক।

এই ঘটনার পর আরকে শর্মাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান কে কে শর্মা। পালটা দাবি করে কংগ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বার বার গদ্দার বলে তাঁকে চটিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাই তিনি জল ছুঁড়ে প্রতিবাদ করেছেন। তাই ক্ষমা তাঁর নয় কে কে শর্মার চাওয়া উচিত। হাইভোল্টেজ ভোটের উত্তাপে এই জল কতটা গা জুড়োবে বলা যায় না, তবে বারুদে অগ্নি সংযোগ করতে পারে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *