vote bank
নয়াদিল্লি: সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক, আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক, এমনকি দলিত ভোটব্যাঙ্কের কথাও শোনা যায়। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই সব ভোটব্যাঙ্ক ছাপিয়ে অন্য একটি ভোটব্যাঙ্ক বড় ফ্যাক্টর হয়ে যেতে পারে। আর তা হল ব্যবসায়ী ভোটব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে তার অনেকটাই নির্ভর করবে দেশের অন্তত ৭ কোটি ব্যবসায়ীর ওপর। এই ব্যবসায়ীরা যে রাজনৈতিক দলের দিকে ঝুঁকবেন তাদের পাল্লা যে স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি ভারী হবে অন্য দলের তুলনায় তা বলা বাহুল্য।
আসলে ‘কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’ এই ‘ব্যবসায়ী ভোটব্যাঙ্ক’ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে। মূলত ব্যবসায়িক লাভের দিকে তাকিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা ভোট দেন আগামী দিনে তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসার ভালো-মন্দ বিচার করেই যে কোনও রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে চান। তবে পুরো বিষয়টি যেন ঐক্যের সঙ্গে হয় তাই আগামী ২৪ আগস্ট ছত্তিশগড়ের রায়পুরে দু’দিনের সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। দিল্লির রামলীলা ময়দানেও তারা সভা করতে ইচ্ছুক। কিন্তু সিদ্ধান্ত যা হবে, তা এখনই জনসমক্ষে জানাতে প্রস্তুত নয় তারা। তাহলে কি ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবে, সেই প্রশ্ন থাকছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছে, জিএসটি, লাগামহীন ই-কমার্স ব্যবসা, লাইসেন্স সংক্রান্ত অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে বিগত কয়েক বছরে বহু ছোট-বড় ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপারে, এই সমস্যাগুলি উৎপন্ন হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পরেই। এখানেই কৌতূহল যে, এই ‘ব্যবসায়ী ভোটব্যাঙ্ক’ সম্পূর্ণরূপে মোদী বা বিজেপি বিরোধী হবে কিনা। সেটা এখনও স্পষ্ট না হলেও রাজনৈতিকভাবে একজোট হওয়াই মূল লক্ষ্য ব্যবসায়ীদের।