আজ বিকেল: রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে বাচ্চু বিচ্ছুকে বিশদে বোঝাচ্ছে তাদের বাঁটুল দা। বোঝাতে গিয়ে কীকরে অন্যায়ভাবে সরকারি টাকা অম্বানিদের পকেটে পুরে দিচ্ছেন মোদি, বোঝানোর সময় তাও বাদ যাচ্ছে না। হাঁ করে বসে গুরুর মুখে সেসব শুনছে বাচ্চু বিচ্ছু। ডোরেমন, নবিতা তো ধর্মীয় সন্ত্রাস বিরোধী ভোটটি তৃণমূলকে দেওয়ার আরজি জানিয়েই দিল। এখানেই শেষ নয়, নন্টে ফন্টে তো জিএসটি নিয়ে লম্বাচওড়া বক্তব্য রাখল, নোটবন্দি যে মানুষকে বিপদে ফেলার ফন্দি তা জানাতে ভুলল না। উত্তর হাওড়া ও শিবপুরের এলাকাবাসীর দেওয়ালজুড়ে এখন শুধু কার্টুন চরিত্রদের ভিড়। সবাই জমিয়ে বিজেপিকে একহাত নিচ্ছে। এই দলে ভিড়েছে হাঁদাভোঁদাও। আরে চমকাবেন না, এভাবেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছে হাওড়া জেলা তৃণমূল।
দলীয় তরফে জানানো হয়েছে, দেওয়াল লিখনে একসময় কার্টুনের মাধ্যমে বিরোধীদের বেগ দেওয়া হলেও আজকালকার দিনে এসব রঙ্গরসিকতা খুব একটা চোখে পড়ে না। উল্টে রাজনৈতিক সৌজন্যকে তুড়ি মেরে যাচ্ছেতাই লেখা হয়। এবার চোখ ও মনের শান্তি দিতে জেলা তৃণমূলের তরফে এলকার দেওয়াল লিখনে কার্টুনকেই ব্যবহার করা হয়্ছে। আর বিজেপির ভাঁড়ারে তো ঘটনার ঘটনঘটা তাই কার্টুন চরিত্রের খোরাক জোগাড় করতে বেশি হাপিত্যেষও করতে হয়নি।
অন্যদিকে তৃণমূল যে বিজেপির ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে কার্টুন এঁকে প্রচার চালাচ্ছে। দেওয়াল লিখনে সেসব ফুটে উঠেছে, তা গেরুয়া শিবিরের অজানা নয়। তাই এসব শুনে দলীয় তরফের মন্তব্য, কার্টুন পার্টিরা তো এসবই করবে। তবে যে যাই বলে বলুক এহেন প্রচারে বেশ মজা পেয়েছে এলাকার শিশুরা। পছন্দের কার্টুন চরিত্রকে বাড়ির দেওয়ালে দেখে তারা যেমন অবাক তেমনই খুশি হয়েছে।