পুরুলিয়া: এযেন উলট পুরাণ! এতদিন অভিযোগটা ছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে৷ এবার সেই একই অভিযোগ এল খোদ বিজেপির বিরুদ্ধে৷ বুথ লাগোয়া ক্যাম্প অফিস থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে৷ নির্বাচনী বিধী ভেঙে বিজেপির ক্যাম্প অফিস থেকে মুড়ি-ঘুঘনি বিলি অভিযোগ৷
জানা গিয়েছে, এদিন ভোট শুরু হতেই পুরুলিয়ার বলরামপুরের বুথের কাছে বিজেপির ক্যাম্প অফিস থেকে মুড়ি-ঘুঘনি বিলি করা হয়৷ ভোটারদের জন্য বিশাল ডেকচির মধ্যে কয়েকশো ভোটারের জন্য ঘুঘনি ও বস্তাবন্দি মুড়ির ব্যবস্থা করা হয়৷ শাল পাতায় মুড়িয়ে ভোটারদের তা খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়৷ কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নিয়মন বলছে, ভোটের আগে কোনও পন্য বা খাদ্য বস্তু বিলি করা যায় না৷ এতে ভোটারা প্রভাবিত হন৷ এক্ষেত্রেও বিজেপি নির্বাচন কমিশনের বিধি ভেঙেছে বলে অভিযোগ তুলেছে শাসক দল৷ পুরুলিয়ার বলরামপুরের ২৩৯/২৩৫ নম্বর বুথের ১০০ মিটারের মধ্যেই বিজেপি ক্যাম্প অফিস থেকে ভোটারদের মুড়ি-ঘুগনি বিলির অভিযোগ।
অন্যদিকে এর আগের দফার নির্বাচনেও গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলকোটে ভোটারদের হাতে ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট ধরিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মঙ্গলকোট ব্লকের মাজিগ্রাম অঞ্চলের বকুলিয়া গ্রামের ১৩২ বুথে এই অভিযোগ ওঠে৷
গত ২৩ এপ্রিল বালুরঘাটে খিচুড়ি বিলির অভিযোগ ওঠে৷ ভোটারদের হাতে ৩০টাকা গুজে জলখাবারের ব্যবস্থা করাও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ তৃতীয় দফায় ভোটারদের বিনা মূল্যে ঝালমুড়ি বিলির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ দ্বিতীয় দফায় টাকা ও খিচুড়ির লোভ দেখিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ ওঠে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ও জলপাইগুড়ির ডামডিম চা বাগান। ইসলামপুরের তৃণমূল নেতা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে টাকা বিলির খবরটি স্বীকার করে নিলেও ডামডিমে খিচুড়ি দেওয়ার খবরে প্রলোভন মানেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। ইসলামপুরের তৃণমূল নেতা টাকা দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নেন। গ্রামের ভোটারদের ৩০ টাকা করে দেওয়া হয়নি, কাউকে ২০ টাকা আবার কাউকে ১০ টাকা করে দেওয়া হয়। যাতে ভোট দিয়ে ফেরার সময় বাচ্চাদের জন্য কেক চকলেট কিনে নিয়ে যেতে পারেন।