বীরভূমে এজেন্ট বসানোর টার্গেট বিজেপির

সাঁইথিয়া : মুখে নয়। প্রত্যেক বুথে এজেন্ট বসানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় শক্তি কেন্দ্র প্রমুখদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। রাজ্যের অন্য প্রান্তের মতো বীরভূমেও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের দলে টানার নির্দেশও দিয়ে রাখলেন রাজ্য নেতারা। লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষনা করেনি। তবে তারজন্য থেমে নেই দল। বরং

বীরভূমে এজেন্ট বসানোর টার্গেট বিজেপির

সাঁইথিয়া : মুখে নয়। প্রত্যেক বুথে এজেন্ট বসানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় শক্তি কেন্দ্র প্রমুখদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। রাজ্যের অন্য প্রান্তের মতো বীরভূমেও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের দলে টানার নির্দেশও দিয়ে রাখলেন রাজ্য নেতারা।

লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষনা করেনি। তবে তারজন্য থেমে নেই দল। বরং প্রার্থী ঘোষনার আগে বুথস্তরের সাংগঠনিক ক্ষমতা যাচাই করতে শুক্রবার সাঁইথিয়ায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচ ছয়টি বুথ নিয়ে গঠিত শক্তিকেন্দ্র প্রমুখদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নেতৃত্ব। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাঢ় বঙ্গের পর্ববেক্ষক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, বীরভূম জেলার পর্যবেক্ষক রাজীব ভৌমিক প্রমুখ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে শক্তিকেন্দ্র প্রমুখদের কাছে জানতে চাওয়া হয় প্রতিটি বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারবেন কিনা। আগে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। রাজ্যে অন্য দলগুলির বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের নিজেদের অনুকূলে টানার কৌশল নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সে ধারা বীরভূমের ক্ষেত্রেও বজায় থাকবে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি নব্য ভোটারদেরও ভোটের আগে ‘মোটিভেট’ করার ওপরও বিশেষ জোড় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বাড়িবাড়ি কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারও করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় ওই বৈঠকে। প্রসঙ্গত পাঁচ বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্রে বিজেপি তৃতীয় স্থানে ছিল। তবে সময় বদলের সঙ্গে দলের সংগঠন আগের থেকে অনেক মজবুত হয়েছে বলেই দাবি করেছেন বিজেপির জেলা নেতারা। বীরভূমের যে কটিতে ভোট পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে তারমধ্যেই দুটি পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। একটিতে তৃণমূলের সঙ্গে সম আসনে রয়েছে বিজেপি। এদিন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী বলেন, “আমাদের দলে যেসব অভিনেতা অভিনেত্রী সাংসদ রয়েছেন তারা বিজেপির কর্মী হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলে সেটা হয়নি। তারজন্যই আসন পরিবর্তন করে তাদের প্রার্থী করতে হচ্ছে। লোকসভা ভোট বুলেটে হবেনা। তাই দেখবেন ফল কি হচ্ছে”। প্রার্থী ঘোষনা না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের দল তো একজন ব্যক্তি কেন্দ্রীক নয়, যে সকালে বৈঠকে বসল আর দুপুরে ঘোষনা হয়ে গেল। বিজেপিতে রাজ্য নাম পাঠায়। কেন্দ্রীয় স্তরে তার পর্যালোচনা হয়। তারপরই ঘোষনা করা হয়”। প্রসঙ্গত দির্ঘদিন পর একই মঞ্চে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মন্ডলকে দেখা গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =