আলাদা মুখ নয়, বরং ‘ঘর ঘর মে মোদি’! বার্তা অমিত শাহের

আলাদা মুখ নয়, বরং ‘ঘর ঘর মে মোদি’! বার্তা অমিত শাহের

দেবময় ঘোষ: নিজে মুখেই ‘মুখের’ কথা বলেছেন। প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, দু-একটা নাম নয়, লম্বা তালিকা রয়েছে। কিন্তু, আসল কথা এই যে, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীত্বের ‘মুখ’ খুঁজে পেতে এই মুহূর্তে উৎসাহী নয় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখকে সামনে রেখেই রাজ্য নেতৃত্বকে এগিয়ে যেতে সবুজ সংকেত দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরপ্রদেশ সহ কয়েকটি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীত্বের মুখ ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে কী উত্তরপ্রদেশ মডেল কাজে লাগবে পার্টি? আপাতত, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর অমিতের থেকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু, রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, পার্টির রাজ্য নেতৃত্বকে সেই রকম কোনও সম্ভাবনার কথাই বলেননি তিনি।

কিন্তু, স্বাভাবিক প্রশ্ন, মোদি কী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন, নাকি এখানে ভোটে দাঁড়াবেন? যদি উত্তর না হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে তার জায়গায় কে বসবেন ক্ষমতার চেয়ারে? বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এই উত্তর পরিষ্কার ভাবে না দিতে পারলে বাংলায় বিজেপির সুযোগ সীমিত থেকে যাবে। “ভোটে জিতব, তারপর দল দেখবে, কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা যায় … ।” – এই যুক্তিতে বাংলার জনতা কতটা প্রভাবিত হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, “ঘর ঘর মে মোদি হো না চাহিয়ে …।” – একথা বলে গিয়েছেন অমিত।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে সৌরভ গাঙ্গুলি, শুভেন্দু অধিকারী, তথাগত রায় বা কোনও এক সন্ন্যাসীর নামও শোনা গিয়েছে। কিন্তু, রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আগেই বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে মোদিই মুখ। বিধানসভায় পার্টি মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করে কেন্দ্রীয় পার্টিতে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। সেই থেকেই রাজ্য বিজেপিতে বদ্ধমূল ধারণা, পার্টি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কারও নাম ঘোষণা করবে, এমন সম্ভবনা কম। শুক্রবার অমিত শাহ কলকাতা ছাড়ার পর অন্তত তা-ই মনে হয়েছে।

বিজেপির অন্দরমহলে অনেকে মনে করছেন কোনও নতুন মুখকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সুবিধা করে দিতে চাননা অমিত। এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে জনপ্রিয়তার নিরিখে অনেকেই নিজের যোগ্যতা প্রমান করেছেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীত্বের বিষয়ে তাদের যোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তাই, সেই ঝুঁকি নিতে চায়না দল। অন্যদিকে, কোনও নতুন অথচ যোগ্য মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে দল পরিচিতি দিতে শুরু করলে জনতা তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা শুরু করে দেবে। সেক্ষেত্রে তা হতে না দিয়ে প্রশ্নটা হওয়ায় ভাসিয়ে রাখাটাই ভাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *