নয়াদিল্লি: শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিশেষ চিন্তায় নেই বিজেপি। দলীয় সূত্রে যা খবর, শোভন নিজের পুরোনো দলে ফিরতে পারবেন না বলেই মনে করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। যা খবর, রাজ্য বিজেপির কাছে পরিষ্কার যে, শোভন বিজেপি ছাড়তেই পারেন। কিন্তু, তৃণমূলে তার আর ফেরা হবে না। সেক্ষেত্রে নিজেকে রাজনৈতিক আশ্রয়মুক্ত করতে চাইবেন না শোভন – এমনই মনে করছে বিজেপি।
বিজেপির অভ্যন্তরে একটি অংশ শোভনের আচরণে ক্ষুব্ধ। গত একবছর শোভন পার্টিকে কি দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন পার্টির নামকে ব্যবহার করে তিনি মিডিয়ায় 'নিজের বিজ্ঞাপন' করেছেন। তিনি এবং তার বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নিয়ে নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছে। কিন্তু, বিজেপি তার থেকে কিছু পায়নি। পার্টির গুরুত্বপূর্ণ সভায় তিনি আসেননি।
সূত্রের খবর, শোভনের কোনও দাবি বা অনুরোধ শোনার জায়গায় নেই দল। এক বিজেপি নেতা যেমন পরিষ্কার জানান, “বিজেপিতে থেকে বিজেপির আদর্শে দল করতে হবে তাকে। কোনও শর্ত নিয়ে দল করা যাবে না।” সূত্রের খবর, শোভনের ঘনিষ্ট কোনও ব্যক্তি রাজ্য কমিটিতে নেই। শোভনের ইচ্ছা সত্ত্বেও এমন কারও জায়গা হয়নি। বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদ পাননি। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ৪০ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। দলে তার সে সম্মান যাতে কম না হয়, তা দেখে হচ্ছে।
পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় দল পরিবর্তন করেছিলেন। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে তিনি এসেছেন একবছর হয়ে গেল। কিন্তু, এই এক বছরে তিনি দলকে কি দিলেন বা দল থেকেই বা কী পেলেন, তা আবছা।পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক-প্রশাসনিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে তাঁর দল সম্প্রতি রাজ্য কমিটিতে পরিবর্তনও করে ফেলেছে। উদ্দেশ্য, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গঠন। কিন্তু, শোভন কোথায়? যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার মূল্য দিয়ে 'ক্ষুব্ধ' শোভনকে তৃণমূল থেকে বিজেপি আনা হয়েছিল – তা কি মূল্যহীন হয়েছে? এখন কী তাঁকে আর দরকার নেই? বিজেপিতে শোভনের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিছু মাস আগে বলেছিলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায় দলেই আছেন।” কিছুদিন আগেও দিলীপ বলেছেন, বেহালায় স্কুটার চালিয়ে শোভনকে রাজনীতি করতে দেখেছেন।