চূড়ান্ত ব্যর্থ বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গতবার ১৮টি আসনে জিতলেও এবার তা নেমে এসেছে ১২-তে। সেখানে তৃণমূল ২২ থেকে পৌঁছে গিয়েছে ২৯-এ। রাজ্য জুড়ে সবুজ ঝড় চললেও ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে। তার অন্যতম হল শহুরে এলাকায় বিজেপি ঝড়।
শহুরে এলাকায় ভাল ফল বিজেপির BJP Urban Performance in West Bengal
কলকাতা পুরসভা এলাকায় চল্লিশটির বেশি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে তৃণমূলের থেকে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। পরিসংখ্যান বলছে, ১২২টি পুরসভার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৯টিতে। কংগ্রেস দুটি এবং তৃণমূল ৫১টিতে এগিয়ে রয়েছে। কোন কারণে শহুরে এলাকায় ভাল ফল করেছে বিজেপি?
তৃণমূলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার
রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, শহুরে এলাকার মানুষজন নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠের পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল দেখে থাকেন। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের মানুষের সেই সুযোগ সব সময় হয় না। লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক মিডিয়া তৃণমূলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার করেছে বলে শাসক দল মনে করে। সম্ভবত তাতেই প্রভাবিত হয়েছেন শহুরে এলাকার ভোটাররা।
দেশের অর্থনীতি
এছাড়া শহরে এলাকার মানুষজনের বড় অংশ সম্ভবত আর পাঁচজনের তুলনায় চিন্তাশীল হওয়ার কারণে তাঁরা বিভিন্ন ইস্যু নিজেদের মতো করে কাটাছেঁড়া করে দেখেছেন। দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার হলে তা স্থায়ী হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত হবে, এমন ধারণা শহুরে এলাকার একটা বড় অংশের মানুষ পোষণ করেছেন বলেই এই ফলাফল, এই মতও উঠে আসছে।
রুটিরুজির লড়াই প্রধান
সেখানে গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। সেখানে দৈনিক রুটিরুজির লড়াইটা প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে বলেই এই ফলাফল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প গেমচেঞ্জারের কাজ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। হাতে নাতে নগদ পাওয়ায় সেই অংশ তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফেরাননি। তাই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-সহ তৃণমূলের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে। সেই কারণেই তৃণমূলের এত বড় জয়।
আরও পড়ুন
মোদী ৩.০; মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন কারা?
রাস্তাই রাস্তা দেখায়, এবার ‘ধন্যবাদ যাত্রা’ করবেন রাহুল! কতটা চাপে বিজেপি?