কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্ভবত ৯-১০ মাসের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। রাজ্যে করোনা এবং পরবর্তীতে আমফান ঝড় নিয়ে রাজ্য সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা তুলে ধরতে চায় বিজেপি। কিন্তু, তার মধ্যেই সর্বদল বৈঠক ডেকে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'যাব না যাব না' করেও সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। থাকব না, থাকব না করেও রাজ্য সরকারের একটি কমিটিতে তিনি জায়গা পেয়েছেন। কমিটির মাথায় রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে চাপে রাখয়ে লকডাউনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অপরিকল্পিত লকডাউন হয়েছে রাজ্যে, মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন। রাজ্যে লকডাউন বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করা হয়েছে। বিষয়টি মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য 'নাটক' বলে মনে করছে বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, সারা দেশেই যখন লকডাউন চলছিল তখন রাজ্যে উনি তা মানেননি। লকডাউনের মধ্যেই মিষ্টির দোকান, চা'য়ের দোকান সমস্ত খুলে দিয়েছেন। রাজ্য থেকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, “যখন লকডাউন চলছিল তখন মৃতদেহকে লুকিয়েছে। রানডম স্যাম্পেল টেস্টিং করেনি মৃতদেহকে পাচার করেছে, যেখানে-সেখানে জ্বালিয়ে পুড়িয়েছে। এতসব কুকীর্তির পর এখন দেখছে সংক্রমণের হার বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে ঘোষিত সংখ্যার থেকে কয়েকগুণ সংক্রমণ বেশি।”
এদিকে সর্বদল বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, তাঁদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, দিলীপ রাজ্য সরকার সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি কমিটি গড়বেন। সেখানে রয়েছেন দিলীপ।
এদিকে, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, বর্তমানে জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা নতুন লকডাউন নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করতে ছাড়েননি। রাহুলের বক্তব্য, “এখন লকডাউনে মহান কার্য সাধন করবেন (মুখ্যমন্ত্রী)। বাস খুলে দিলেন, লকডাউন খুলে দিলেন। বাস ভাড়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিলেন না। যার জন্য বাস মালিকরা খুশিমত ভাড়া নিচ্ছে।” রাহুল আরও বলেন, “অবিলম্বে লকডাউন করার আগের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। রাজ্যে যখন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছিল, সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত লকডাউন এবং করোনা রোগের ব্যাপার পুরোপুরি শ্বেতপত্র দাবি করছি আমরা।”