কলকাতা: বিজেপি আমাকে ভয় পাচ্ছে। তাই বাংলায় সাত দফার নির্বাচনের আরজি জানিয়েছে কমিশনকে। তবে বলে রাখছি তৃণমূল সাতে সাতই পাবে আর বিজেপি কুপোকাত হবে। বাংলার বুথগুলিকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণার দরকার কি ছিল? আসলে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। ত্রিপুরায় ভোটের সময় এসব মনে ছি্ল না? সেখানে তো ৯৯ শতাংশ ভোট বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে আর সবথেকে বেশি খুন হয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। আসলে এসব করে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। বাংলা একটি শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানে কোনওরকম ধর্মীয় উৎসব নিয়ে অশান্তি হয় না। বিজেপি পরিকল্পনা করে বাংলায় দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। আসলে এসব করে রাজ্যের বাসিন্দাদের অপমান করছে বিজেপি। ব্যালটে বিজেপির করা এই অপমানের জবাব কড়ায়গন্ডায় মিটিয়ে দেবে জনতা।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বিজেপির তো রাজনীতি করার ক্ষমতাই নেই, তারা তো রাজনীতির নামে ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করে। লোকসভা ভোটে এবার মানুষই বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলবে। গো-রক্ষার নামে বিজেপি কত কত মানুষ খু করছে, এরাজ্যে সেসব চালাতে পারেনি বলে আমাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, পারবে না। ওসব পেশি শক্তিকে আমরা ভয় পাই না। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিকদের ভয় দেখাচ্ছে কত বড় বুকের পাটা। আসলে মোদি শাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছি তাই এসব চলছে, লাভ নেই বিজেপি এবার কুপোকাত হবে। বাংলায় সংস্কৃতি চলে অপসংস্কৃতি নয়, বিজেপি মনের মতো কিছুই এখানে করে উঠতে পারছে না। তাই শুধু নালিশ করছে, নালিশ করে বালিশ পাবে। বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই বালিশকে পালিশ করে দেবে।
মোদির দল তো টাকা দিয়ে ভোট কেনে। সবার মোবাইলে মোদির সঙ্গে বন্ধুত্ব করার মেসেজ যাচ্ছে। তৃণমূল নেত্রীর মোবাইলেও এসেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মোদির সঙ্গে কেন বন্ধুত্ব করব? জনতার সঙ্গে করব। মোদিকে আমার দেখতেই ইচ্ছে করে না। খুব টাকা হয়েছে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন মোদি।