কলকাতা: বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে ভোট চাইল গেরুয়া শিবিরের৷ টুইটারে একটি গ্রাফিক্স পোস্ট করে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি ঘটেছে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিন, মোদীজিকে ভোট দিন।’’
শুক্রবার ষষ্ঠ দফার ভোটের ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে বাংলায় WBSEDCL-র বিদ্যুৎ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ কেননা, ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে অধিকাংশ এলাকা WBSEDCL-র বিদ্যুতের আওতায় পড়ে৷ ফলে, কৌশলতগত ভাবে বিদ্যুতের লাগাম ছাড়া দাম দিয়ে জনতার ক্ষোভের আগুন বেশ খানিকটা উস্কে দেন মুকুল রায়৷
তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি ঘটেছে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিন, মোদীজিকে ভোট দিন। pic.twitter.com/HGWHBKTGdP
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) May 10, 2019
এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যে বড়সড় বিদ্যুৎ ‘কেলেঙ্কারি’র পর্দাফাঁস করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ বিজেপি নেতা মুকুলের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় বিদ্যুতের মাশুলের হার সবচেয়ে বেশি। এ রাজ্যে এক ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে প্রায় সাত টাকা মাশুল গুনতে হয়। ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি অথরিটিকে পুরোপুরি অথর্ব করে রাজ্য সরকার ৩২ লক্ষ গ্রাহকের থেকে অতিরিক্ত ১৩ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। যার জেরে প্রতি পরিবার থেকে ৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত মাশুল বাবদ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, রাজ্য সরকার রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেগুলেটরি অথরিটিকে কার্যত মৃতপ্রায় করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, ২০১০ সালে মাশুল নির্ধারণ সংক্রান্ত এই স্বশাসিত সংস্থা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়েছিল তৎকালীন রাজ্য সরকারকে। যদিও সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনবার বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, ২০১১-’১২, ২০১২-’১৩ এবং ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৩১ শতাংশ, চার শতাংশ এবং ১৭.৩৩ শতাংশ। গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলেন, তৃণমূল সরকার নিয়মিত প্রচার করে বাংলায় বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত। অতিরিক্ত বিদ্যুতের জোগান থাকা সত্ত্বেও কেন মাশুল দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হবে, প্রশ্ন তোলেন বিজেপির নেতারা। এ বিষয়ে উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি।