নিশীথ-সাক্ষাতের পর ‘বেপাত্তা’ তৃণমূল বিধায়ক, বাড়িতে গিয়েও দেখা পেলেন না ২ মন্ত্রী

নিশীথ-সাক্ষাতের পর ‘বেপাত্তা’ তৃণমূল বিধায়ক, বাড়িতে গিয়েও দেখা পেলেন না ২ মন্ত্রী

 

কোচবিহার: দলের বিরুদ্ধে আগেই বিদ্রোহী ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী৷ সরাসরি প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে দল পরিচালোনা ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোও তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা৷ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে খুব একটা দেরি করেনি বিজেপি৷ বৃহস্পতিবার আচমা তৃণমূল বিধায়কেক বাড়িতে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক৷ বৃহস্পতিবার ঘণ্টাখানিকের বৈঠকের পর আজ সকাল থেকে ‘বাপাত্তা’ মিহির! ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ বিধায়কের বাড়িতে গিয়েও দেখা পেলেন না তৃণমূলের দুই মন্ত্রী৷ দু’জেলা ঘুরেও শূন্যহাতে ফিরলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও নিময় বর্মন৷ মন্ত্রীদের আসার আগেই বিধায়কের ‘বেপাত্তা’ হওয়ার ঘটনা কোচবিহারের রাজনীতিতে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

বৃহস্পতিবার মিহির গোস্বামী ও নিশীথ প্রামাণিকের ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ পর্বের পর আজ ‘বিজয়া’ জানতে জানাতে বিধায়কের বাড়িতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ ও বিনয় বর্মন৷ কিন্তু, দু’মন্ত্রীর আগমনের আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী৷ পিছু নিয়েও হয়নি দেখা৷ আলিপুরদুয়ারে মিহির গোস্বামীর ঠিকানায় পৌঁছেও তাঁর দেখা পাননি মন্ত্রী মন্ত্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ৷ পরে, তিনি জানতে পারেন, মিহির গোস্বামী আলিপুরদুয়ার থেকে অসমে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছেন৷ ফলে, কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ারে ছুটেও বিধায়কের দেখা না পেয়ে শূন্যহাতে ফিরতে হয় মন্ত্রীকে৷ এযাত্রায় মিহিরকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানো না হলেও পরে ফের চেষ্টা করে হবে বলেও জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷

এর আগে পুজোর মাসেই দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী৷ সরাসরি প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আগেই৷ সেই ক্ষোভের আবহে বিজয়া করতে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে যান বিজেপি সাংসাদ৷ তারপর দিন বিধায়কের বাড়িতে তৃণমূলের দু’মন্ত্রীর হাজিরা ও মিহিরের গরহাজিরা নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সাক্ষাৎ-পর্ব ঘিরে নতুন করে ছড়িয়ে পরে দলবদলের জল্পনা৷ তাহলে কি বিধানসভা ভোটের আগে মিহিরবাবু বিজেপিতে যোগদান করছেন? জল্পনা বজায় রেখে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক জানান, মিহিরবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতা যেকোনও দলের সম্পদ৷ যাঁকে নিয়ে এত জল্পনা, সেই তৃণমূল বিধায়ক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ৷’ কিন্তু, সেই  ‘সৌজন্য সাক্ষাতে’র পর আচমকা তৃণমূল বিধায়কের ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার ঘটনা কোনও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে? জবাব লুকিয়ে সময়ের গর্ভে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *