কলকাতা: দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই কাজ হাতে কলমে করে দেখতে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। রাজ্যে ১০০ জন বক্তার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। জেলা এবং মণ্ডলস্তর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষন চলবে বলে জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পর সব থেকে বড় কাজ হিসাবে যা উঠে আসবে তা হল, প্রধানমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে আপনার দরজায় কড়া নাড়বেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভরশীলতার পরামর্শ সম্বলিত বার্তা আপনার হাতে তুলে দেবে বিজেপি নেতারা।
দিলীপ বলেন, বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আত্মনির্ভরশীল ভারতের বার্তা তুলে ধরা হবে। এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, তিনি যা টুইট করেছেন সেই প্রশ্নের জবাব তৃণমূল কংগ্রেসের নেই। সেই কারণে রাজ্যপালকে কটু কথা বলতে তৃণমূলের ছোট বড় নেতারা উঠে পড়ে লেগেছেন। মনে হচ্ছে তাঁদের আর কোনও কাজ নেই। আসলে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুললে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়, বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুললে তাঁদের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। রাজ্যপাল প্রশ্ন তুললে তৃণমূল কী করবে, বুঝতে পারছে না।
উমপুন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্য পাচ্ছে না, বলেন দিলীপ। দিলীপের বক্তব্য, “রাজ্য সরকার যাদের বাড়ি ভেঙেছে তাদের ২০ হাজার টাকা দিচ্ছে। কিন্তু, টাকা পাচ্ছে তৃণমূলের পাকা বাড়ির মালিকরা। গ্রামে এখনও বাড়িঘর ভাঙা।” দিলীপের মতে, পশ্চিমবঙ্গে কোভিড 19 লকডাউন মানেননি মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর মন্ত্রী, নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে বাঁচাতে যদি আবার লকডাউন হয়, তা হতেই পারে। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, লকডাউন ছাড়াও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোভিদের তথ্য লুকান, আপত্তিকর ভাবে মৃতদেহ সৎকারের অভিযোগ আনেন দিলীপ।