থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে গান্ধী-নীতি অবলম্বন বিজেপির নেতা-কর্মীদের

 

স্মারকলিপি জমা দিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি শঙ্কর দাস জানালেন ভারত অহিংসার মাটি এবং এই দেশ গান্ধী, নেহেরু, বিবেকানন্দর দেশ। তাদের অনুপ্রেরণা নিয়েই এই অহিংস আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা।

 

 দেশের শাসকদলের পাখির চোখ বাংলা দখলের লড়াইয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই উদ্দেশ্যে শাসকদলের একাধিক দোষত্রুটি তুলে ধরে রাজ্যবাসীকে পরিবর্তনের নতুন দিশা দেখাতে  নিত্য নতুন ইস্যু তুলে ধরছেন তাঁরা। মূল অভিযোগের মধ্যে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। আর এই ইস্যুকেই কেন্দ্র করেই রবিবার  বারাসাত থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সংগঠন, 'বারাসাত সাংগঠনিক জেলা'। এদিন সকালে দলের সাংগঠনিক কার্যালয় থেকে মিছিল করে বারাসাত থানার উদ্দেশে রওনা দেন দলীয় কর্মীরা। 

অতীত এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি কর্মীদের উগ্র ভাবমূর্তির কথা মাথায় রেখে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে এড়াতে সবধরণের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল বারাসাত থানা সংলগ্ন এলাকায়। ছিল পুলিশের ত্রিস্তর বলয়। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার মিছিল হরিতলায় আসতেই পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বাঁধা দেয়। উত্তেজনার আশঙ্কায় এলাকার দোকান পাটও বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচি হলেও এদিনের এই কর্মসূচিতে শক্তি প্রয়োগ থেকে দৃশ্যতই ছিল বিরত ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেননি কেউ। রাজ্য তথা বারাসাতবাসীর কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে বিজেপির অভিনব এহেন অহিংস কর্মসূচির উদ্যোগ স্থানীয় নেতৃত্বের পরিকল্পনা অনুসারেই।

মূলত গান্ধীবাদী অহিংস আন্দোলনের পথেই  হাটতে চাইছেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব এমনটাই জানিয়েছেন সংগঠনের সহ সভাপতি শঙ্কর দাস সহ বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। বাংলার মানুষের মন জয় করতে হিংসার পথে না গিয়ে বরং অহিংস আন্দোলনের বার্তাই দিতে চাইছেন তাঁরা। তাঁর নেতৃত্বেই এদিন থানায় ঢুকে স্মারকলিপি জমা দেন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ একাধিক অভিযোগ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকার দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।

স্মারকলিপি জমা দিয়ে বিজেপি জেলা সহ সভাপতি শঙ্কর দাস জানালেন ভারত অহিংসার মাটি এবং এই দেশ গান্ধী, নেহেরু, বিবেকানন্দর দেশ। তাদের অনুপ্রেরণা নিয়েই এই অহিংস আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা।

দেশের বিজেপি নেতৃত্বের 'হেট স্পিচ' ইস্যু যখন আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাংলা দখলের লড়াইয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ রাজ্য ও জেলা স্তরের বিজেপি নেতৃত্বের আক্রমণাত্মক ভাষা নিয়ে অভিযোগ যখন নিত্তনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন বারাসতের বিজেপি নেতৃত্বের এই অহিংস নীতি বাংলায় বিরোধী দলের ভিত মজবুত করে তুলতে কতটা কার্যকর হয় তা স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + 3 =