নয়াদিল্লি: বিশ্বভারতীর প্রধান ফটক তৃণমূলই ভেঙেছে। দাবি করলেন বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক রাহুল সিনহা। রাজ্য থেকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল বলেন, ‘‘নকশালরা যেভাবে বাংলার মণিঋষিদের মূর্তিকে খণ্ড-বিখণ্ড করে দিত, একই কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওরা বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তিকে ভেঙে তছনছ করেছে। এখন রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি বিশ্বভারতীর প্রধান ফটক তারা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তৃনমূল কংগ্রেস বিদ্যাসাগরের পর রবীন্দ্রনাথকেও অপমান করতে ছাড়েনি।’’
রাহুলের দাবি, ‘‘আজ বিভিন্ন মহল প্রচার করছে, নতুন তোলা পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু,পাঁচিল তো তৈরি হয়নি যে ভাঙবে। ভেঙেছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত তোরণ। এই তোরণ ভাঙার পিছনে মদত জুগিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এমএলএ মিছিল করে এসে তোরণ ভেঙে দেয়।’’
রাহুলের মতে, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসকে চিনে নিতে হবে। বাংলার জনগণকে জেগে উঠতে হবে। মাস্ক এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি আড়াল করবার জন্য খারাপ করোনা টেস্ট কিটের গল্প এনেছেন। খারাপ কিট এসেছিল চিন থেকে। সেটা সবাই জানে। সেই সময় সারা দেশে কোথাও কিট তৈরি হত না। আর আজ দেশে কিট তৈরি হচ্ছে। কোনও খারাপ কিট নেই।’’ বরং রাহুলের পালটা দাবি, ‘‘মাস্ক, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং করোনা প্রতিরোধে যাবতীয় জিনিসপত্র কিনতে রাজ্য সরকারের কোথায় , কত খরচ হয়েছে তা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশিত হোক।’’
রাহুল আরও জানান, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। কিন্তু সরকারের সেদিকে খেয়াল নেই। বরং, রাজ্য সরকার ২১ সালে গদি অনেক বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু সরকার যদি উদাসীন থাকে, বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে না চলে, তবে পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়ঙ্কর হবে। এমনিতেই করোনা রোগীর সংখ্যা এত হয়ে গিয়েছে যে ভর্তি করার মত হাসপাতাল নেই, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই। রাস্তায় রোগী মারা যাচ্ছে। নার্সিং হোমের সামনে গাড়িতে বসে রোগী মারা যাচ্ছে। তারপর মুখ্যমন্ত্রী বড়বড় কথা বলছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো উচিত।