কলকাতা: টিভিতে বিজ্ঞাপন দিতে রাজ্য সরকার কত খরচ করেছে? কেন্দ্র কত করোনা কিট পাঠিয়েছে, কত পরীক্ষা হয়েছে? কেন্দ্র কত টাকা পাঠিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে হিসাব চেয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতা এবং বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। রাহুলের কথায়, “দিল্লির দাঙ্গা থেকে অন্য জায়গায় নজর ঘোরানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার করোনার গল্প ফেঁদেছে। যদি রাজ্য সরকার তখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করত, পরিস্থিতি সমন হত না। রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংখ্যা মিলছে না। আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, সংখ্যা গোপন করে আপনি কী মহৎ কার্য করছেন? প্রকৃত সংখ্যা দিলে মানুষ সতর্ক হবে, সংযমী হবে।”
রাহুলের বক্তব্য, “পৃথিবীতে কোথাও আমরা দেখিনি, মৃত্যু হলে যে ডাক্তার চিকিৎসা করল, ওই ডাক্তার মৃত্যুর কারণ লিখতে পারবে না। মৃত্যুর কারণ বলতে পারবে, নবান্নতে বসে থাকা একটা বোর্ড, যাঁরা ওই রোগীকে চিনলোই না, দেখলেই না। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে বলেছেন, কাজ করতে চাই। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে রাজ্য সরকার রাজ ভবনকে আড়াল করে একলা চলো নীতি নিয়ে চলছে। রেশনে ৫ কেজি চাল বা গম এবং ১ কেজি ডাল বরাদ্দ করা হয়েছে। মানুষ পাচ্ছে না। অতিরিক্ত চাল গেল কোথায়? বিজেপিকে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করতে দেওয়া হচ্ছে না। উত্তরবঙ্গের আমাদের সংসদ জন বারলা ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে পারছে না। এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বাড়ি বাড়ি রাজনৈতিক রং দেখে ত্রাণ দিচ্ছে।”
“রাজ্য সরকারের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে চাই। কিন্তু রাজ্য সরকার নিম্নরুচি সম্পন্ন। রাজ্য সরকার দিল্লির নিজামউদ্দিন থেকে কতজন ফিরেছে তার সংখ্যা ঠিক করতে পারেনি। কলকাতার রাজাবাজার, মেটিআব্রুজ এলাকায় লকডাউন পালিত হচ্ছে না। সরকার সাম্প্রদায়িকতার কারণে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেই বাজেটে কত কোটি টাকা কী কী খাতে খরচা হয়েছে? দেখছি বিভিন্ন খাতে, সংবাদমাধ্যমে লাগাতার বিজ্ঞাপন। একটু পর পর মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ আসছে। ওই ভাষণে কার কী উপকার হচ্ছে জানি না, লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। কত টাকা সরকারি অর্থে ভাষণের জন্য ব্যয় হয়েছে ঘোষণা করুক। আর কতদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলবে, কত টাকা গচ্ছা হবে, সরকার ঘোষণা করুক। ” বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন রাহুল।
তিনি আরও বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে দাবি করছি, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কত টাকা এসেছে তা মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে জানাক। কেন্দ্রীয় অর্থ কোথায় কী ভাবে খরচ করা হয়েছে তা রাজবাসী জানতে চায়। আমরা দেখলাম, রক্ত পরীক্ষার কিট বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে। কিন্তু ব্যবহার হচ্ছে না। পরীক্ষায় হচ্ছে না এই রাজ্যে। ভয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। যদি রোগ বেরিয়ে পড়ে। একটা জনগণের সরকার চলতে পারে কী? কেন্দ্র কত কিট পাঠিয়েছে, কত পিপিই পাঠিয়েছে। কোথায় কত, পাঠান হয়েছে তা জনতা জানতে চায়।”