কলকাতা: বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পর নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা তার নানান ব্যাখ্যা দিয়েছেন৷ কিন্তু, রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের পরিবারের সদস্য চন্দ্রকুমার বোস এই হারের যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে খুব অস্বস্তি তে রেখেছে৷
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর চন্দ্রকুমার টুইট করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি যে (রাজনৈতিক) পদ্ধতিতে চলে তা একটু সাফ করার দরকার আছে৷ রাজ্যের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা চাই৷ স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষের এই ভূমিতে সারা ভারতের ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য, তা চলবে না৷ এর পরেও একটি টুইটে চন্দ্রকুমার বলেছেন, এন এর সি-কে বাংলায় বিজেপির মূল এজেন্ডা তৈরি করা ঠিক হয়নি৷ চন্দ্রকুমারের এই বক্তব্যের পর বিজেপি বেশ অস্বস্তিতে পড়লেও অনেক নেতাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ৷
অনেকেই বলেছেন, চন্দ্রকুমার যা বলছেন, তা নিয়ে মাথা না ঘামানই ভালো৷ ওর রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তবে এটা সত্য, নাগরিকত্ব বিল পাশ না করে এন আর সি নিয়ে বেশি প্রচারের জন্যই বিজেপির ভরাডুবি, তা আড়ালে মেনেছেন অনেক নেতাই৷ চন্দ্রকুমারের নিজের বক্তব্য, যেকোন রাজনৈতিক দলেরই এন এর সি-এর মত কর্মসূচি থেকে দূরে থাকা উচিত৷
যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বলেছেন, ২০২১ শে নয়, ২০২৪ সালে এন আর সি হবে সারা দেশে৷ যা মনে হচ্ছে, চন্দ্রকুমারের পরামর্শ মনে ধরেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের৷ তবে একথা ঠিক, নিজের মন্তব্য এবং টুইটের মাধ্যমে রাজ্য বিজেপিকে বারবার লক্ষ্যবস্তু করেছেন নেতাজির এই বংশধর৷