লখনউ: ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে, যোগী আদিত্যনাথ সরকার বুধবার বিতর্কিত হাথরস গণধর্ষণ ও ২০ বছর বয়সী দলিত কিশোরের মৃত্যুর মোকাবিলার কৌশলটি পাল্টে দিয়েছে। অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের তা-ই ধারণা।
শনিবার, যোগী সরকার হাথরস নিকটস্থ বুলগাড়ি গ্রামে বিরোধীদের জন্য খুলে দেয়। উল্লেখযোগ্য, ওই গ্রামেই ২০ বছর বয়সী দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা ঘটে ১৪ ই সেপ্টেম্বর। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং বাকি নেতারা ওই জায়গায় পৌঁছেছেন। মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এর আগে সংবাদমাধ্যমকে দুদিন পর ওই গ্রাম থেকে সরাসরি কভারেজ করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের তথ্য বিভাগ (মিডিয়া-যোগাযোগ) অবনীশ অবস্তীকে সরিয়ে নবনীত শেহগালকে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (তথ্য) হিসাবে নিয়োগের করা হয়। যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করেছে তা সহজেই বোধগম্য।
কিন্তু শুরুতেই ছিল না এই পরিস্থিতি। গত মঙ্গলবার-বুধবারের মধ্যবর্তী রাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জোর করে মহিলার মরদেহ দাহ করল। তারা এলাকায় গণমাধ্যম যাাতায়তের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, মৃতের পরিবারকে গৃহবন্দি করা হয় এবং মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জেলা শাসক পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন, “মিডিয়া চলে যাবে, আমরা এখানে থাকব”। কিন্তু প্রথমে, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের, এমনকি তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকেও মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এরপরই নিজেদের ভুল বুঝতে পারে যোগী সরকার। সূত্রের খবর দমন-পীড়ন নীতি যে বিজেপির বিপক্ষে যাবে তা দিল্লির হাই-কমান্ড থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় যোগী সরকারকে। প্রথমিকভাবে ঘটনাটি মোকাবিল করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের ওই আমলা যেভাবে হুকি দিয়েছেন, তা নিয়ে চিন্তিত বিজেপি হাইকমান্ড। ওই ঘটনার পর সারা দেশে যোগী এবং বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ছি ছি পড়েছে। বিজেপির পক্ষে যে সব মিডিয়া হাফস কথা বলে, তারাও এখন বেসুরো গাইছে। হাইকমান্ড এখন এই মাসের বিহার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ওই ঘটনা দলিত ফ্যাক্টরে প্রভাব ফেলবে এমন সম্ভাবনার ওজন মাপছে। সতর্ক করা হয়েছে যোগী সরকারকে।