‘প্রতিরোধ’ করতে পারলেই ৩০ আসন! নিশ্চিত বিজেপি নেতৃত্ব

নিজস্ব প্রতিনিধি:  লোকসভা নির্বাচনের আর দুটি দফা বাকি। সেখানে ষষ্ঠ দফায় আটটি এবং সপ্তম দফায় নটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ১৭ টি কেন্দ্রের নির্বাচন…

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি:  লোকসভা নির্বাচনের আর দুটি দফা বাকি। সেখানে ষষ্ঠ দফায় আটটি এবং সপ্তম দফায় নটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ১৭ টি কেন্দ্রের নির্বাচন বাকি রয়েছে। এই দুটি পর্যায়ে যেখানে যেখানে ভোট রয়েছে সেখানে বিজেপি ভাল ফল করার ব্যাপারে অসম্ভব আশাবাদী।

এর মধ্যে কাঁথি, তমলুক, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, মেদিনীপুর, কলকাতা উত্তর, বারাসত, দমদমের মতো আসনে জয় নিয়ে আশাবাদী বিজেপি। সেই সূত্রে এই দুটি পর্বের নির্বাচনের জন্য রণকৌশল সাজাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। উল্লেখ্য প্রথম তিনটি দফার নির্বাচন ঘিরে সামান্যতম অশান্তি হয়নি। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় রক্ত ঝরেছে। বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু বুথে অশান্তি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ হার সুনিশ্চিত জেনে তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি করেছে। যথারীতি এর উল্টো কথাই বলেছে বাংলার শাসক দল।

এই চাপানউতোর পর্বের মধ্যে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দুটি পর্বের নির্বাচনেও একাধিক জায়গায় এমন অশান্তি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘প্রতিরোধ’ করতে না পারলে টার্গেটে পৌঁছনো যাবে না বলে রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছেন। ঘটনা হল পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্ততপক্ষে ৩০টি আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এই টার্গেট ঠিক করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেভাবেই চলছে প্রস্তুতি। তাই শেষ দুটি পর্বে প্রত্যেকটি বুথে যাতে এজেন্ট থাকেন, যে ঘটনাই ঘটুক না কেন, এজেন্টরা যাতে বুথ ছেড়ে না চলে যান, সেই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে দলের তরফে।

এটাকেই মূলত ‘প্রতিরোধ’ হিসেবে দেখতে চাইছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটাই সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্বকে কার্যত পুরোটাই নির্ভর করে থাকতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার উপর। এছাড়া দলের কর্মী-সমর্থকরা যাতে সংশ্লিষ্ট বুথে পৌঁছে বিজেপিকে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যাপারেও এলাকা ভিত্তিক নেতৃত্বকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গ রাজনীতিতে অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে, তা হল ‘ভোট করানো’। যে কাজে শাসক দল ছোট বড় প্রত্যেকটি নির্বাচনেই সফল হয়ে চলেছে।

তাই সেই সূত্রে তৃণমূলের সঙ্গে যতটা পাল্লা দেওয়া যায় তা বাকি দুটি পর্বে করার চেষ্টা করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটাই সূত্রের খবর। অর্থাৎ সমানে সমানে লড়তে না পারলে টার্গেটে যে পৌঁছনো যাবে না তা ভাল করেই জানে গেরুয়া শিবির। তাই চূড়ান্ত দুটি পর্বে মাঠে নেমে ‘খেলতে’ গিয়ে যাতে বোকা বনে যেতে না হয় তার জন্য সব রকম চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *