বিরোধীদের শত্রু ভাবত না বিজেপি, ব্লগে মোদিকে বিঁধলেন আদবানি

আজ বিকেল: আগের বিজেপি কখনও সংকীর্ণতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করত না। বিরোধীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখার রীতি ছিল, শত্র্রুশিবির হিসেবে নয়।ব্যক্তি স্বার্থ সুনিশ্চিত রাখাই একদিন বিজেপির মূল লক্ষ্য ছিল। মনে করা হত, প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের স্বাধীনতা রয়েছে। এমনকী যাঁরা বিজেপির মতাদর্শে বিশ্বাস করেন না তাঁদেরও কখনও দেশবিরোধী বলে মনে করেনি। কিন্তু মোদির নিয়ন্ত্রণে থাকা বিজেপি

বিরোধীদের শত্রু ভাবত না বিজেপি, ব্লগে মোদিকে বিঁধলেন আদবানি

আজ বিকেল: আগের বিজেপি কখনও সংকীর্ণতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করত না। বিরোধীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখার রীতি ছিল, শত্র্রুশিবির হিসেবে নয়।ব্যক্তি স্বার্থ সুনিশ্চিত রাখাই একদিন বিজেপির মূল লক্ষ্য ছিল। মনে করা হত, প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের স্বাধীনতা রয়েছে। এমনকী যাঁরা বিজেপির মতাদর্শে বিশ্বাস করেন না তাঁদেরও কখনও দেশবিরোধী বলে মনে করেনি। কিন্তু মোদির নিয়ন্ত্রণে থাকা বিজেপি এর ঠিক উল্টো। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে ব্লগে এভাবেই বিজেপি তথা মোদি ও তাঁর অনুরাগীদের কোণঠাসা করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা দলের প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদবানি।

বলাবাহুল্য, এবার গান্ধীনগর থেকে আদবানি যে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না, তা একেবারে নিশ্চিত করে নিয়েছিল মোদি শাহ শিবির। এইক্ষেত্রে বর্ষীয়ান নেতার অনুমতি বা মতামতের কোনওটিই নেওয়া হয়নি। এমনকী, মোদি শাহরা নিজে থেকেও তাঁকে কিছু জানাননি। দলের তৃতীয় সারির এক নেতার মাধ্যমে তিনিযে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তা জানতে পারেন আদবানি।

এতদিন চুপ থাকার পর এদিনই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বলা বাহুল্য, মোদির সাজানো অস্ত্রে তাঁকেই াঘাত করে আদবানি যখন স্বস্তি বোধ করছেন, তখনই চালকের আসনে বসে পড়লে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আডবানির বক্তব্যকে স্বাগত জানান তৃণমূল নেত্রী। এক টুইটবার্তায় বলেন, “বিজেপি-র প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সৌজন্য বজায় রাখার কথা বলেছেন তা প্রশংসনীয়। বিরোধিতা করা মানেই দেশবিরোধী নয়। ওঁর বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *