আজ বিকেল: ভোটের দামামা বাজতে না বাজতেই শাসক দলের চোখ রাঙানি দেখল ত্রিপুরার পশ্চিমাঞ্চল। চেয়েও ভোট দিতে পারলেন না উত্তরপূর্বের এই বিজেপি শাসিত রাজ্যের সাধারণ জনগণ। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথমদফার ভোট গ্রহণ আজই। সকাল থেকেই তাই বিভিন্ন বুথের সামনে সাধারণ ভোটারদের লম্বা লাইন। বিজেপিও যে তাণ্ডব করতে পারে তা দেখল বিপ্লব দেবের শাসনাধীন ত্রিপুরা।
এদিন লাইনে দাঁড়ালেও কাউকেই ইভিএম পর্যন্ত পৌঁছাতে দেয়নি বিজেপির বাইক বাহিনী। বিরোধী দলের এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদ করতে গেলেই জুটেছে উত্তমমধ্যম। বাইক বাহিনীর ভয়ে যখন সাধারণ জনতা পিছু হটছে তখন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিপ বিপ করে গেল পদ্মছাপের বোতাম। প্রায় হাঁ হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোটা দৃশ্য দেখলেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী মামুন খান।
শাসকদলের এহেন তাণ্ডবলীলা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে , কেঁদেই ফেলেন ওই প্রার্থী। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিল না ওঁরা। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক পেটাল এমনকী, বাদ যাননি প্রার্থী মা ও স্ত্রী। বুথ জ্যাম করে যখন ভোট দিচ্ছে বিজেপির বাইক বাহিনী তখন ভোটকেন্দ্রের কয়েকশো মিটারের মধ্যে কোনও পুলিশের ভ্যান ছিল না। ডেকেখুঁজেও কোনও পুলিশের পাত্তা পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশন তো দূর অস্ত। বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে হারিয়ে বিজেপির বিপল্ব দেব যখন ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসেন তার পরেপরেই লেনিন মূর্তি ভাঙা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল এই পাহাড়ি রাজ্য-সহ গোটা দেশ। তারপর একেরপর এক অভিনব মন্তব্য করে প্রায়ই শিরোনামে থেকেছেন বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রী। এবার আপাত শান্ত ত্রিপুরাকে ভোটজুজুতে ভয় পাইয়ে ফের শিরোনামে বিজেপি।