শিলিগুড়ি: ইতিমধ্যেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে গুঞ্জন উঠেছে পাহাড়ে৷ এরই মাঝেই তৃণমূলের হাত ছাড়লেন পাহাড়ের মোর্চা নেতা বিনয় তামাং৷ শাসকদলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে বিমল গুরুং শিবিরের৷ গুরুংয়ের সঙ্গে বিনয়ের সম্পর্ক কার্যত আদায় কাঁচকলায়৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷
বিধানসভা ভোটের আগে গত বছরের শেষে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান বিমল গুরুং৷ বিজেপির হাত ছে়ড়ে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন৷ তৃণমূলের সঙ্গে বিমলের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেনি মোর্চার অপর নেতা বিনয় তামাং৷ তখন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে বিনয় তামাংয়ের অনুগামীদের দূরত্ব বাড়ছিল বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি৷
সম্প্রতি দলের দুই সাংসদ জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁয় দিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী৷ সূত্রের খবর, তারপরই পাহাড়ে গেরুয়া ঝড় আরও তীব্রতর হয়েছে৷ তারই জেরে ক্ষুব্ধ বিনয় তৃণমূলের হাত ছাড়লেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷ প্রকাশ্যে এখনও গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার কথা ঘোষণা না করলেও বিনয়ের মতিগতি দেখে তৃণমূল শিবিরের অভিমত, অদূর ভবিষ্যতেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বিনয়৷ যদিও, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বিমল গুরুং সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছে এসেছিলেন৷ পরে বিজেপিতে হয়েছিল গুরুংয়ের মোহভঙ্গ৷
একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে পাহাড়ের দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং কালিম্পং আসন তিনটি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা নিয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠী বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাংয়ের মধ্যে। বিনয় গোষ্ঠীর দাবি, বিমলকে দলে ফেরৎ নেওয়ার খেসারত এবারের ভোটে দিতে হয়েছে৷ তারপরেও তৃণমূল নেতৃত্ব শিক্ষা নেয়নি৷ তাই এই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত৷ স্বাভাবিকভাবেই, বিনয় দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পাহাড়ের বুকে শাসকদল আরও সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷