দার্জিলিং: প্রায় ২ বছর পরে পাহাড়ে ফিরছেন বিমল গুরুং। ২০১৭ সালে পাহাড়ে অশান্তির পর থেকে ফেরার ছিলেন তিনি। কারণে, সেই সময় একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ ছিল। এই নির্দেশের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন গুরুং। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় আগামী ৪দিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে ঢাল করে বৃহস্পতিবারই পাহাড়ে ফিরতে পারেন বিমল গুরুং।
গত ডিসেম্বর মাসেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আপাতত বিমল-রোশনের বিরুদ্ধে কোনও ‘দমনমূলক পদক্ষেপ’ অর্থাৎ গ্রেফতার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, হাইকোর্টের রায় পর্যন্ত ওই সুরাহা বহাল থাকবে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তেতে ওঠার পর থেকে পাহাড়ে এখন শাঁখের করাতে মোর্চার সর্বময় কর্তার। কোনও মূল্যেই গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরতে নারাজ পাহাড়বাসী। সরকারের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে নেমে গোর্খাল্যান্ড আনতে না-পারলেও পাহাড় ছাড়া গুরুং।
কে এই বিমল গুরুং?
মদ ছুঁয়েও দেখেন না বিমল৷ নেশা বলতে ছিল খৈনি৷ কিন্তু, ‘লাইমলাইটে’ আসার পর তা-ও ছেড়ে দিয়েছেন৷ হাওয়াই চটি আর পরেন না৷ পায়ে সব সময় বিদেশি ব্র্যান্ডের স্নিকার৷ গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন আমূল বদলে দিয়েছে গুরুংয়ের ‘লাইফ স্টাইল’৷ আটের দশকে সুবাস ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময় ট্যুরিস্ট গাড়ি চালাতেন গুরুং৷ পাহাড়ে কানাঘুসোয় শোনা যায়, বিমলের এখন নামে বেনামে ১৩টি স্করপিও গাড়ি রয়েছে৷ তার বেশিরভাগটা কব্জায় এনেছে প্রশাসনষ৷ তাঁর ছেলেমেয়েরাও প্রতিষ্ঠিত৷ ছেলে নেপালি সিনেমার উঠতি নায়ক৷ মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করে৷ সে পারতপক্ষেও দার্জিলিংমুখো হয় না৷ ইংরাজি না বলতে পারার কারণে ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চান না গুরুং৷ তবে কেউ তাঁকে সময় জিজ্ঞাসা করলে, বা হাতের একলাখ টাকা দামের রোলেক্স ঘড়িটির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ইংরাজিতেই ‘টাইম’ জানিয়ে দেন৷