কলকাতা হাইকোর্টে বড় জয়, স্বস্তিতে মুকুল রায়

কলকাতা: দিল্লি হাইকোর্টের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ দিল্লি আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, মুকুলকে করা যাবে না গ্রেপ্তারি৷ তবে, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে৷ এবার দিল্লির হাইকোর্টের পর কলকাতা হাইকোর্টে খিরজ মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির পরোয়ানা জারি করা ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশ৷ বুধবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের

কলকাতা হাইকোর্টে বড় জয়, স্বস্তিতে মুকুল রায়

কলকাতা: দিল্লি হাইকোর্টের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ দিল্লি আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, মুকুলকে করা যাবে না গ্রেপ্তারি৷ তবে, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে৷ এবার দিল্লির হাইকোর্টের পর কলকাতা হাইকোর্টে খিরজ মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির পরোয়ানা জারি করা ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশ৷

বুধবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা৷ গত ২৯ জুলাই ব্যাঙ্কশাল আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লিতে দিল্লি আদালতে যান মুকুল রায়৷ সেখানে ১০ দিনের জন্য গ্রেপ্তারির উপর রক্ষাকবচ পান মুকুল৷ পরে যান কলকাতা হাইকোর্টে৷ আজ হাইকোর্টের তরফে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নির্দেশ খারিজ করে দেয়৷

গত সপ্তাহে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির পরোয়ানা জারি করেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন মুকুল রায়৷  গত বছর এক সরকারি কর্মচারীর বাড়ি থেকে নগদ ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়৷ ওই ঘটনায় মুকুলের নাম জড়িয়ে পড়ে৷ এই ঘটনার তদন্তে মুকুলকে জেরা করতে দিল্লি যেতে চেয়ে মুকুলকে নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ৷ এই নোটিসের পাল্টা দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করে৷ অভিযোগ, ওই মামলার দীর্ঘ দিন ধরে হাজিরা না দেওয়ায় দায়ে মুকুলের নামে গ্রেপ্তারির পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত৷

ইতিমধ্যেই বড়বাজার থানার মুকুলের বুরুদ্ধে মামলা চলছে৷ লাগাতার হাজিরা এড়ানোর জেরে গত সপ্তাহে ব্যাঙ্কশাল আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার বিষয়ে বড়বাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা কার্যকর করতেও বলা হয়৷ ব্যাঙ্কশাল আদালতের এই নির্দেশের পরই গ্রেপ্তারি এড়াতে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখল চলেছে মুকুলের আইনজীবী৷ সূত্রের খবর, গত বছর বড়বাজের এক আধিকারিকের কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ৷ সেই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মুকুল রায়ের নাম ওঠে৷ গোটা ঘটনার তদন্তে দিল্লিতে গিয়ে মুকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও উদ্যোগ দেয় কলকাতা পুলিশের৷ যদিও এই বিরুদ্ধে পাল্টা দিল্লি হাইকোর্টের পিটিশন দাখিল করেন মুকুল রায়৷

এই গ্রেপ্তারি পরয়না প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন মুকুল৷ রাজনৈতিক ভাবে হেরে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে মমতা৷’ সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ তোলেন তৃণমূল ছেড়ে  বিজেপি নাম লেখানো মুকুল রায়৷

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে রেলে চাকুরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎয়ের অভিযোগে মামলা চলছে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। সেই মামলা নিয়ে চলতি সপ্তাহে মুকুল রায় বলেন, রাজ্য সরকার পুরো মামলাটি মিথ্যে সাজিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে রাজনৈতিক ভাবে পরাজিত হয়েছেন। তাই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করেছে৷ তাঁর আরও দাবি, আমার রাজনৈতিক করিয়ারকে রাজ্যের প্রশাসন কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ তা পারবে না৷  ব্যাঙ্কশাল কোর্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে দিল্লিতে আদালতের দারস্থ হন মুকুল রায়৷ এবার নির্দেশ খারিজ হওয়ায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন এই নেতা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 4 =