কলাকাতা: ছট পুজোর অব্যস্থার দায় রাজ্য সরকারের কাঁধে চাপাতে চেয়েছে বিজেপি৷ একইভাবে, কাশ্মীরে বাঙালি শ্রমিক খুনের দায়ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই ঠেলে দিতে চেয়েছে বিজেপি৷ ছট পুজোয় রবীন্দ্র সরোবর দূষণ বা কাশ্মীরে বাঙালি হত্যার পরোক্ষে দোষ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই ঠেলে দিতে চায় বিজেপি৷
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোর্টের অর্ডার মানতে হবে৷ কিন্তু, এতগুলি মানুষ কোথায় যাবে? রাজ্য সরকার বিকল্প ব্যবস্থা নিলো না কেন৷
অন্যদিকে, কাশ্মীর প্রশ্নে, রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দিলীপ ঘোষ দুজনেই রাজ্য সরকারের উপর দায় চাপিয়েছেন৷ বিজেপির যুক্তি, রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই৷ বাঙালি যুবকরা পেটের দায়ে বাইরে যায়৷ ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে কাশ্মীরে যেতে হয় কেন, উত্তর দিকে মমতা৷
মনে রাখা প্রয়োজন, লোকসভা নির্বাচনের পরে এটিই সব থেকে নভেম্বর মাসে বিধানসভা উপনির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ লোকসভার পর এই উপনির্বাচনে শাসক এবং বিরোধীরা কি পরিস্থিতিতে রয়েছে তা বোঝা যাবে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে অন্তত দুটি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি৷ একটিতে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে যেহেতু, লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন যেহেতু চরিত্রগতভাবে আলাদা, সেক্ষেত্রে অনিশ্চিত লড়াই৷
যা খবর, মমতাকে ইস্যু ভিত্তিক আক্রমণ শানাবে বিজেপি৷ ছট পুজোর ঘটনা বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে৷ রবীন্দ্র সরোবর সহ অন্যান্য জায়গায় কোর্টের নির্দেশ থাকায় পুজোতে মানা আছে৷ পুলিশের নিষেধ না মেনে তালা ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে কিছু লোক পুজো করেছে৷ কিন্তু বিশাল অবাঙালি ভোটব্যাংকের কথা ভেবে তাদের পাশেই থাকতে হয়েছে বিজেপিকে৷ দিলীপ বাবু বলেছেন, কোর্টের কথা মানতে হবে৷ কিন্তু রাজ্য সরকারকেই সকল ব্যবস্থা করতে হত৷