কলকাতা: বাঙালির আবেগ ভাড়িয়ে ‘বাংলাপক্ষ’ নামে এক সংগঠনের সাম্প্রতিক ভূমিকায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করল বাংলার রাজনৈতিক মহল৷ ‘বাংলাপক্ষ’ গণপিটুনির পন্থা অবলম্বন করছে বলে উঠছে অভিযোগ৷ এই সংগঠনের সঙ্গে বিজেপির ন্যূনতম কোন ফারাক নেই বলে দাবি সিপিএমের৷
সম্প্রতি রাজ্যের বাঙ্গালিদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে ‘বাংলা পক্ষ’ একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে৷ এক যুবককে প্রকাশ্যে হেনস্থা করতে দেখা গিয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালিদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যের জেরে বিহারের এক যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা ও অভিযুক্তকে যেভাবে হেনস্তার করা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে জানিয়েছে সিপিএম৷
বিরোধী নেতাদের একাংশের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বাঙালি জাতি ও বাংলার মহিলাদের নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে এক তরুণকে উঠবস করতে বাধ্য করায় ‘বাংলা পক্ষে’র কয়েকজন সমর্থক৷ সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক নেতা জানিয়েছেন, বাংলা পক্ষ যদি সত্যি বাংলার কথা ভাবতো, তবে নবান্নে ঘেরাও করে চাকরির দাবি তুলত৷ এক গরিব বিহারি যুবককে হেনস্থা করে বাংলার প্রকৃত উন্নতি হবে না৷ যদি প্রতিবাদ করতেই হতো, তাহলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হল না৷ কেন সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানাল না ওই সংগঠন৷ দেশের আইন ব্যববস্থার উপর আস্থা না রেখে সরাসরি আইন হাতে তুলে নেওয়া বেআইনি৷ ওই যুবক যে কাণ্ড ঘটিয়েছে, তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের পাশাপাশি মানহানির মামলা করা যেত৷ কিন্তু, তা না করে অভিযুক্ত যুবকের মাকে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় শাসিনি দেওয়া অন্যায় বলেও মনে করছে বিরোধী শিবির৷ প্রকাশ্যে অভিযুক্ত যুবকে হেনস্থা না করে কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত না? প্রশ্ন তুলছে বাম নেতৃত্ব৷ তাঁদের মতে, এভাবে জঙ্গি আন্দোলনে যদি ভবিষ্যৎ হয়, তবে জাতপাতের সংঘর্ষ বাড়বে৷ বাড়বে বিভেদ৷
বাংলা পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের হোমল্যান্ড৷ এখানে লক্ষণ রেখা টানা হচ্ছে৷ এখানে অধিকার আমাদের৷ এই অধিকার ভাগ দেব না৷ বাংলা পক্ষ চলে বাঙালি টাকায় চলে৷ আমরা জামাতের থেকে ফান্ড পাইনা৷ বাঙালির অধিকারের লড়াইয়ে আমরা যা করণীয় তাই করবো৷