কলকাতা: বিজেপি মনে করে তাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে যে খুন করা হয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছে। পুলিশ এই মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা অর্থাৎ খুনের মামলা এবং ৩৪ ধারায় ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাজ্য বিজেপির সিনিয়ার নেতা রাহুল সিনহার মতে, ‘‘এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আরও অনেক ব্যক্তি এই মামলার সাথে যুক্ত এবং এই হত্যা কাণ্ডের সাথে যুক্ত।” রাহুলের সাফ কথা, “যদি আত্মহত্যাই হত তবে কেন রুজু করা হল? তার মানে, প্রকারান্তরে, সরকার স্বীকার করে নিলেন যে বিজেপি বিধায়ককে হত্যা করা হয়েছে।’’
সূত্রের খবর, পাল্টা প্রচার পর্ব হিসাবে বিজেপি এই বিষয়টিকে কাজে লাগবে তা নিশ্চিত। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং বিজেপি অন্যতম জাতীয় সম্পাদক রাহুল বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার সরকারের অবস্থা দেখুন। বাধ্য হয়ে হত্যার মামলা রুজু করতে হল। আপনার সরকার প্রথমে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছিলেন। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে আইন বলে কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গে আইন এবং পুলিশ রাজনৈতিক মোড়কে মোড়া। এটাই তার সর থেকে বড় প্রমাণ।’’
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সিআইডি দ্বারা সম্ভব নয় তা প্রচার করবে বিজেপি। কারণ পার্টি মনে করছে এটি রাজনৈতিক খুন। সিবিআই দিয়েই এর তদন্ত করতে হবে। রাজ্য পুলিশের প্রাথমিক বক্তব্য ছিল, ‘‘হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পকেট থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে দুই ব্যাক্তির নাম আছে।’’ তবে, এক বিধায়ক পকেটে দুই ব্যাক্তির নাম লিখে কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
রাজ্য বিজেপি হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে শুরু থেকেই খুন বলে দাবি করেছে। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি করেন, দেবেন্দ্রনাথ রায়কে দেখে মনে হচ্ছে না তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। এর আগেও আমরা পুরুলিয়ার দেখেছি একাধিক (বিজেপি কর্মী) যুবককে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।