শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে জোড়া সভা থেকে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কোচবিহারের যে রাসমেলা ময়দান ও জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার সভা থেকে চৌকিদার ইস্যুতেই নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী৷
নরেন্দ্র মোদির সভা শেষের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাসমেলা ময়দানে দাড়িয়ে বেনজিরভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিরোধীদলের নেতানেত্রীদের কাজের, বাচনভঙ্গির, আচরণের সমালোচনা তাঁকে করতে শোনা যায়৷ কিন্তু ব্যাক্তিগত আক্রমণ করেন না খুব একটা। এদিনের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘নিজের স্ত্রীকে দেখেন? আপনি পরিবারের কথা বলছেন? যে নিজেদের পরিবারকে মানে না, সে দেশ দেখবে কীভাবে?’৷ অভিযোগ করেন, এনআরসি চালু করে বাঙালিদের তাড়াতে চাইছে বিজেপি। এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লি থেকে উৎখাতের ডাক দেন মমতা। কংগ্রেসে সুরেই এদিন সভা মঞ্চ থেকে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তোলেন তিনি।
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার সভা থেকে চৌকিদার ইস্যুতেই নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বারবার নিজেকে চৌকিদার বলে অভিহিত করছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী, তাঁর অনুগামীরাও নিজেদের ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ বেল আখ্যা দিচ্ছেন। সোমবারের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘দেশে চৌকিদার চাই না, গান্ধিজি, আম্বেদকর, নেতাজির মতো নেতা চাই। যাঁরা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারে৷’ সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তুলে ধরেন রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ও প্রকল্পে খতিয়ান। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, বছরভরই উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করেন তিনি। কিন্তু মোদি আসেন শুধু নির্বাচনের সময়। এদিনের সভা থেকে ফের একবার জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জন বার্লাকে দাঙ্গাবাজ বলে অভিযোগ করেন মমতা।