কলকাতা: বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরে যখন রণক্ষেত্র কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠিক তখনই বন্ধ হল নবান্নের গেল৷ দেওয়া হল তালা৷ কিন্তু, হঠাৎ কী কারণে নবান্নের গেট বন্ধ করে তালা দেওয়া হল? তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ভরদুপুরে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবনের মূল গেল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ খুব সম্ভবত নিরাপত্তার কারণে মূল গেট সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়৷ যদিও, এই নবান্ন চত্বরে সর্বসময়ের জন্য বিশাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে৷ তারপরও কেন এই ব্যবস্থা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীদের একাংশ৷ বিজেপির তরফে লালবাজার অভিযান প্রত্যাহারের ঘোষণার পরপরই নবান্নের মূল ফটক খুলে দেওয়া হয়৷
অন্যদিকে, বিজেপির মিছিল রুখতে আগেই ব্যবস্থা রেখেছিল পুলিশ৷ এবার, মিছিল পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতেই মারমুখী পুলিশ৷ বিজেপির মিছিল লক্ষ্য করে জলকামান ছোড়া হয়৷ দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয় হয়৷ অতর্কিতে এই পুলিশি হামলার জেরে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে খবর৷ ফিয়ার্স লেনের এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷
বিশাল তৎপরতার মাধ্যেই লালবাজারের সামনে বিজেপির পতাকা হাতে রাস্তায় বসে পড়েন তিন মহিলা কর্মী৷ রাস্তায় বসে পড়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন তাঁরা৷ পরে, পুলিশ পৌঁছে ওই তিন মহিলা বিজেপি কর্মীকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ করা হয় গ্রেপ্তার৷
আজ, দুপুর একটা থেকে বিজেপি লালবাজার অভিযান শুরু হয়৷ সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বাংলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বেশ কয়েকজন সাংসদ লালবাজার অভিযানে নামেন৷ ছিলেন বিপুল সংখ্যক বিজেপি কর্মীরা৷ রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয় মিছিল৷ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে মিছিল এগোতেই শুরু হয় ধুন্ধমার পরিস্থিতি৷ শুরু হয় লাঠিচার্জ৷
ফিয়ার্স লেনের কাছে বিজেপির মিছিল রুখে দেয় পুলিশ৷ সেখানে বিশাল ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়৷ বিজেপির কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙতেই শুরু হয় পুলিশি তাণ্ডব৷