কলকাতা: বারাকপুর: কিছুতেই ঠান্ডা হচ্ছে না ভাটপাড়া৷ মাঝে দু’এক দিন শান্ত থাকলেও গত দু’দিন ধরে উত্তপ্ত ভাটপাড়া৷ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ৷ আজ সকাল থেকে দফায় দফায় চলে বোমাবাজি৷ চলে গুলি৷ স্থানীয়দের অনুমান, আজ সকাল থেকে অন্তত এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বোমা-গুলির লড়াই চলতে থাকে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়৷ নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ জখম হয়েছেন চার জন৷
অশান্ত ভাটপাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশানিক কর্তাদের নবান্নে জরুরি বৈঠকের পর আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সম্প্রতি, বারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত বিভিন্ন জায়গায় জগদ্দল ও ভাটপাড়া লাগোয়া কিছু এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা ঘটিত উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে রাজ্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ কিছু সমাজবিরোধী ও কিছু অপরাধী ওই সব পকেটে সক্রিয় হয়েছে৷ বহিরাগতদের সঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে সংযোজিত হতে দেখা যাচ্ছে৷ এর ফলে, স্বাভাবিক জনজীবন ও আইন-শৃঙ্খলায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ যেটা রাজ্য সরকার কড়া দৃষ্টিতে দেখছে৷ মুখ্যমন্ত্রী পর্যবেক্ষণে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন৷ ভাটপাড়ায় আজ থেকে একটি নতুন থানা আজ থেকেই চালু করা হয়েছে৷ ব়্যাফ ও পুলিশ পাঠানো হয়েছে৷ রুটমার্ট চালু হচ্ছে৷ এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সঞ্জয় সিংকে বারাকপুর কমিশনারেটে বিশেষ তদারকি ভার দিয়ে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে৷ ভাটপাড়া ও জগদ্দল থানা এলাকা ও সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে জনজীবন স্বাভাবিক করা জন্য৷’’
এদিন নতুন থানা উদ্বোধনের দিনেই গুলি-বোমায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়ায়৷ কাঁকিনাড়া৷ এলাকায় দফায় দফায় বোমা, গুলির লড়াই চলতে থাকে৷ ৪-৫ নম্বর রেল সাইডিং এলাকা থেকে কাঁকিনাড়া বাজার বনধের চেহারা নেয়৷ এদিন সকাল থেকে দুষ্কৃতী দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়৷ ভাটপাড়া ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ ৮ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু, নতুন থানার উদ্বোধন হওয়ার আগে এমন ঘটনা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
