কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ আপনার এবং আপনার ভাইপোর জমিদারি নয়, এটা ভারতের অটুট অংশ। ২৩ মে বাংলার সব বঞ্চনার জবাব দেবে বাংলার মানুষ। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার শেষ লগ্নে দমদমে প্রচারে এসে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী জোটকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, কয়েকদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদারদের পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না।
এখনও ভোট শেষ হলনা, এগজিট পোলের ফলাফলও আসেনি। তার আগেই বিরোধীরা হারের আভাস পেয়ে গিয়েছে বলেই কটাক্ষ করেছেন মোদি। এরপরই তিনি দাবি করেছেন, ‘বাংলাই বিজেপিকে ৩০০ পার করাবে।’ পাশাপাশি এদিন তিনি নতুন ভোটারদের তাঁকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বাংলার রাজনীতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শেষদফার ভোটের প্রচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের জনসভায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের গুন্ডারাই তাণ্ডব চালিয়েছে। ওরাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। এখন সারদা কেলেঙ্কারির মতো প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছেন দিদি।’ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর দাপটে বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন বলে কটাক্ষ করেন মোদি।
বিজেপিই একমাত্র শক্তি যারা তৃণমূলকে হারাতে পারে। প্রত্যয়ী ভাষায় মত প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর মতে, বিজেপিই বাংলায় শাসকদেলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে সরব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ, বিজেপির একের পর এক কার্যালয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দখল করে নিচ্ছে। বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য একমাত্র মমতাই দায়ী বলে অভিযোগ করেন মোদি। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে নিজেদের স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন, ‘স্পিড ব্রেকার দিদি’-র পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘স্টিকার দিদি’ বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।