সরকারি পরিষেবায় দেশের নিরিখে পিছিয়ে বাংলা: সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: কর্ম সংস্থান, কৃষি ঋণ প্রদান ও কৃষিজাত দ্রব্যের সঠিক দাম দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু কদম পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম ‘গভর্ন্যন্স ইস্যু অ্যান্ড ভোটিং বিহেভিয়ার’ নিয়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হিসাবে কর্ম সংস্থানে অনেকটা পিছিয়ে রাজ্য তেমনি পিছিয়ে কৃষিজ ঋণ দেওয়া এবং কৃষি

7ace5558be91ad0dd4ad871fbd2b8d9f

সরকারি পরিষেবায় দেশের নিরিখে পিছিয়ে বাংলা: সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: কর্ম সংস্থান, কৃষি ঋণ প্রদান ও কৃষিজাত দ্রব্যের সঠিক দাম দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু কদম পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম ‘গভর্ন্যন্স ইস্যু অ্যান্ড ভোটিং বিহেভিয়ার’ নিয়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হিসাবে কর্ম সংস্থানে অনেকটা পিছিয়ে রাজ্য তেমনি পিছিয়ে কৃষিজ ঋণ দেওয়া এবং কৃষি জাত পণ্যের সঠিক দাম দেওয়ার ক্ষেত্রেও।

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ৩৯.২৮ শতাংশ মানুষের কাছে প্রধান বিষয় হচ্ছে কর্মংস্থান। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাফল্যের মাপকাঠি মোটেই ভালো নয়। কারণ সমীক্ষায় যেখানে ভালো কাজ করাকে ৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে মাত্র ২.১৬, যা অর্ধেকের থেকেও কম। পাশাপাশি কৃষিঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের সাফল্যের মান ৫-এর মধ্যে ২.২৬ ও ফসলের ভালো দাম দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য অনেকটাই পিছিয়েছে। সেখানেও সাফল্যের মান ৫-এর মধ্যে ২.২২। এই সমীক্ষায় ৫-এর মধ্যে ৩ নম্বরকে গড় সাফল্য ধরা হয়েছে। সেই নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রাজ্য। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মানুষজন কৃষিঋণ পাওয়াকে নির্বাচনের মুখে মুখ্য বিষয় বলে মনে করছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ। এরপরেই রয়েছে কৃষিপণ্যের ভালো দাম(৪৮ শতাংশ), কৃষি ক্ষেত্রে ভরতুকি(৪০ শতাংশ) ও কর্মসংস্থান(৪৫ শতাংশ)। এছাড়াও শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থানই সবচেয়ে বড় ইস্যু। সেখানে ৪৫ শতাংশ মানুষ চাইছেন কাজ।

২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের ৫৩৪ টি এলাকায় প্রায় ২.৩৭ লক্ষ ভোটারদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে অধিকাংশরই মত রাজ্যে কর্ম সংস্থানের হাল খুবই খারাপ। কর্ম সংস্থানের পাশাপাশি শহরাঞ্চলে দুষণ ও যান জটের ফলেও অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে শহুরে জীবনের গতি। ফলে কমছে কর্মোদ্যোগ। সেই সঙ্গে রাজ্যে মাত্র ৩৫.৩৯ কৃষক ঋণ পাচ্ছেন ফলে কৃষি ক্ষেত্রেরও পিছিয়ে পড়ছে রাজ্য। ফসলের সঠিক দাম না পাওয়ায় রাজ্যে দিন দিন বাড়ছে কৃষক আত্মহত্যার মতো ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *