আজ বিকেল: সেই ফনির পরে চন্দ্রকোনায় শুরু হয়েছিল, তারপর থেকে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছে পড়ে আছে জয় শ্রী রাম বিতর্ক। ভোট পরবর্তী সময়ে এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে কতই না গোলমাল, ঠাট্টা, কটাক্ষ চলছে। ভাটপাড়ায় অর্জুনের গড়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেকে এই একই স্লোগান। ফের মেজাজ হারিয়ে যুবকের দলের পিছু ধাওয়া করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ভোর হতেই জগদ্দলের আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হল। জয় শ্রী রাম বিতর্কের মোকাবিলায় জয় হিন্দ, জয় ভারত, জয় বাংলা স্লোগান চালু করলেন তিনি। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর শুদ্ধিকরণের দাবি তুলে রামচরিতমানস এল।
হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুদ্ধিকরণ চেয়ে রামচরিতমানস পাঠালেন বেনারসের পুরোহিত। ওই পুরোহিতের নাম মহন্ত বালক দাস। বেনারসের পাতালপুরী মন্দিরের পুরহিত মহন্ত বালক দাস সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “ওনার বুদ্ধির শুদ্ধিকরণ হবে রামায়ন পাঠ করলে। উনি কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ বললে তাদের তাড়া করছেন। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে ওনার মনের অবস্থা। রামের প্রতি তাঁর এই ঘৃণা একদিন পতনের কারণ হবে। সেই কারণেই আমি একটি রামচরিতমানস বই ওনাকে ডাকযোগে করে পাঠিয়েছি। তাঁকে ওই বই পড়ার অনুরোধ করেছি। এটাই তাঁর মন ঠিক করতে পারে। রামকে জানলে মন শুদ্ধ হয়।”
আপাতত রামচরিতমানস পাঠালেও তিনি ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি রামায়ণ পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, দরকারে তিনি রামায়ণ ব্যাখ্যা করে মমতাকে বুঝিয়ে দিতেও রাজি। তাই চিঠিতে নিজের ফোন নম্বরও পাঠিয়েছেন। চন্দ্রকোনার রেশ নৈহাটিতে তাড়া করলেও জয় শ্রী রাম স্লোগান নিয়ে দিদির রেগে যাওয়াকেই হাতিয়ার করল বিজেপি। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিজেপির পক্ষ থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পোস্ট কার্ড যাচ্ছে। অন্য দিকে, নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বাংলা থেকে ‘জয় বাংলা’ লেখা পোস্ট কার্ড দিল্লি পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। হোয়টাসঅ্যাপেও চলছে স্লোগান রাজনীতি। তবে রাজ্যের মধ্যে এসব চললেও বাইরে থেকে যে কটা৭ আসবে তা বোধহয় কেউই ভাবেনি। কিন্তু শুরুটা করেই দিলেন পুরোহিত মহন্ত বালক দাস।