নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর 'এয়ার স্ট্রাইক'-এর এক বছর পরও প্রমাণ লোপাটে ব্যস্ত পাক সেনা। তবে, আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি ভেঙে এফ-১৬ নিয়ে ভারতে ঢুকে বেকায়দায় পড়েছিল পাক বিমানবাহিনী। ভারতীয় বিমান বাহিনী যে রেডিও সিগনাল প্রমান হিসাবে পেশ করে, তার কোনও যুক্তি গ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিকে পারেনি পাক সেনা। মিথ্যা কম পড়ছিল।
আমেরিকার একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যুইট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতের মিথ্যা ধরা পড়ে গিয়েছে৷ ভারতীয় বিমানবাহিনী কোনও F-16 বিমানকে ধ্বংস করতে পারেনি৷ ইমরানের উল্লিখিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, হয়েছিল পাকিস্তানের সবকটি F-16 বিমানই আস্ত রয়েছে৷ আমেরিকা থেকে যাওয়া অফিসাররা তা এক-এক করে তা গুনে দেখেছে৷ সুতরাং, ভারতীয় বিমানবাহিনী ২৭ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা সেক্টরে পাক বিমান হানার জবাব দিতে গিয়ে F-16 ধ্বংসের যে দাবি করেছে তা সত্য নয়৷ তবে হ্যাঁ, পাকিস্তানের হামলায় F-16 যে ব্যবহার হয়েছিল তার প্রমান রয়েছে।
ইমরানের বড়সড় মিথ্যার পরই রেডিও ইলেকট্রনিক সিগনেচার দেখিয়ে এদিন বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল আর জি কে কাপুর পরিষ্কার করে দিয়েছেন, উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের MiG-21 Bison বিমানই ধ্বংস করেছে F-16 -কে৷ আর পর আজ পর্যন্ত, বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া করেনি পাকিস্তান। রেডিও ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার এর প্রমাণ অস্বীকার করণ্যে মুর্খামি হবে, তা তারা বুঝে গিয়েছে। ভারতীয় বায়ু সেনার দ্বিতীয় প্রমানটিও ছিল অকাট্য। গত এক বছরে এই প্রমাণের পাল্টা মিথ্যা খাড়া করতে পারেনি পাক সেনা।
পাক বিমান নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অ্যামরাম মিসাইল ব্যবহার করে৷ ওই মিসাইল দিয়ে শুধু মাত্র F-16 থেকেই আঘাত হানা যায়৷ ওই মিসাইলের ভেঙে যাওয়া অংশ আগেই প্রমান হিসাবে হাজির করা হয়। জবাব এতদিনেও দিতে পারেনি পাক সেনা বা বিমানবাহিনী৷ প্রমাণ হয়ে যায়, F-16 ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু যা আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি ভাঙার শামিল। আমেরিকা ওই বিমান পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই করতে দিয়েছিল।