কলকাতা: দীপাবলির কয়েক ঘণ্টা আগে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গেলেন বিজেপি নেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ দুপুরে হঠাঠ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিপদের বন্ধু’ বৈশাখীদেবী৷ সূত্রের খবর, সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় তাঁদের৷ শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজনৈতিক জল্পনায় জল ঢেলে নিজের অবস্থান প্রশ্ন করেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়৷
সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘পার্থদা সঙ্গে সম্পর্ক আমার ব্যক্তিগত৷ বিজয় গেল৷ তার সঙ্গে এখনও দেখা করতে পারেনি৷ তাই আজ এসে প্রণাম জানিয়ে গেলাম৷ উনি আমার বয়সজ্যেষ্ঠ৷ ওঁর কারণেই আমি এখানে কাজ করছি৷ তাই ওঁকে প্রণাম জানানো আমার কর্তব্য৷ জানিয়ে গেলাম৷’’
বিজেপি নেত্রী হিসাবে তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে হাজিরা ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ের জবাব, ‘‘পার্থদা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ আমাদের দু’জনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ থাকবেই৷ আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম৷ কিন্তু কিছু তিক্ততা তৈরি হয়েছে৷ সেই কারণে আমি নিজেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে নিয়েছি৷ শোভনদাও দেখছি অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন৷ আমি মনে করি, দলীয় নেতৃত্ব যদি মনে করে, তাঁকে নিষ্ক্রিয় করে রাখবে, তাহলে তাঁরা তা করতে পারেন৷ আর তাঁরা যেভাবে তাঁকে সক্রিয় করে তুলবে ভাবেন, তাও তাঁরা করতে পারে৷ তাতে আমার কিছু বলার নেই৷’’
স্বাভাবিকভাবেই বৈশাখীদেবীর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ তাহলে কি দল ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা? উঠছে প্রশ্ন৷ বৈশাখী-পার্থ বৈঠক ঘিরে দীপাবলির আগেই অন্ধকারের মেঘ নেমেছে বঙ্গ বিজেপি শিবিরে৷ কেননা দীর্ঘদিন ধরেই কর্মী মহলে শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন৷ গত সপ্তাহে রাহুল সিনার জন্মদিনে প্রথম শোভন-বৈশাখী প্রকাশ্যে দেখা যায়৷ তারপর সিবিআই দপ্তরে৷ সিবিআই দপ্তরের পর এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈশাখীদেবীর হাজিরা ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷