ভোটের ডিউটি এড়ানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে তৃণমূল, মানলেন নেতাই

কলকাতা: যাঁরা কোনও অজুহাতে ভোটের ডিউটি থেকে নিষ্কৃতি চাইছেন, তাঁদের দায় কোনওভাবে নিতে চাইছে না তৃণমূল। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, দলীয় প্রচারের কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি নেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে তৃণমূলের অনুগামীরাই এগিয়ে। তাঁদের কার্যত সুবিধাবাদী আখ্যা দিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, খোঁজ নিলে দেখা যাবে,

ভোটের ডিউটি এড়ানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে তৃণমূল, মানলেন নেতাই

কলকাতা: যাঁরা কোনও অজুহাতে ভোটের ডিউটি থেকে নিষ্কৃতি চাইছেন, তাঁদের দায় কোনওভাবে নিতে চাইছে না তৃণমূল। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, দলীয় প্রচারের কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি নেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে তৃণমূলের অনুগামীরাই এগিয়ে। তাঁদের কার্যত সুবিধাবাদী আখ্যা দিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, খোঁজ নিলে দেখা যাবে, দলের প্রচারে বা ভোটের অন্য কাজে তাঁদের কোনও সক্রিয় ভূমিকাই নেই। এই ধরনের মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ সোমবার একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। বিরোধীদের দাবি, নিরাপত্তার কারণে ভোটের ডিউটি করতে অরাজি শিক্ষক এবং সরকারি কর্মীদের উদ্দেশেই ওই পোস্ট ছিল। তাতে তাঁদের বাড়ি থেকে দূরে বদলি করে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের আন্দোলনকে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সভাপতি কৃষ্ণকলি বসুও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। এই অবস্থায় ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চাওয়া শিক্ষকের সংখ্যায় তৃণমূল এগিয়ে থাকায় দল কিছুটা অস্বস্তিতেই রয়েছে।

দিব্যেন্দুবাবুও কৃষ্ণকলিদেবীর পথে হেঁটেই দাবি করেছেন, এই আন্দোলনের পিছনে আসলে সিপিএম এবং এসইউসিআইয়ের মদত রয়েছে। সরাসরি দলীয় ছত্রচ্ছায়ায় আন্দোলনে না নামলেও, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, আন্দোলনকারীদের একটি অংশ আবার বিজেপির সমর্থক। আসলে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে তৃণমূলকে চাপে রাখার কৌশল এটি। এই কৌশল খুব একটা সফল হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *