‘মহামারী রুখতে কেন এগিয়ে আসছেন না জনপ্রতিনিধি, শিল্পী, শিল্পপতিরা?’

‘মহামারী রুখতে কেন এগিয়ে আসছেন না জনপ্রতিনিধি, শিল্পী, শিল্পপতিরা?’

কলকাতা: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ২৬৬ জন৷ এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ লকডাউনের পরও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷ করোনার জেরে ইতিমধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি৷ শ্রমিকরা তাঁদের কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷ ২১ দিনের লকডাউন গোটা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চুরমার করে দিয়েছে৷ আর এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের ১৩০ কোটি জনতার সুরক্ষা ও তাঁদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কেন দেশের জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসছেন না? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ৷

অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি জনতার প্রকৃত বন্ধু হয়ে থাকেন, জনতার সমস্যা নিয়ে যদি তাঁরা চিন্তিত হয়ে থাকেন, তাহলে কেন তাঁরা তাঁদের সমস্যা সমাধানে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করছেন না? কেন তারা মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুমোদন দিচ্ছে না? যদিও বেশকিছু সাংসদ, বিধায়ক তারা তাঁদের দায়িত্ব পালন করলেও অধিকাংশ নেতারা এখনও নীরব৷ মরাহারীর পরিস্থিতিতে কেন তাঁরা নীরব? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সমাজের একাংশ৷

মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের দেশে মোট লোকসভায় সাংসদ সংখ্যা ৫৪৫ জন৷ রাজ্যসভা সাংসদ সংখ্যা ২৪৫৷ মোট বিধানসভা সদস্য সংখ্যা ৪১২০ জন৷ বিধানপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ৪২৬ জন৷ সবমিলিয়ে ৫৩৩৬ জন৷ যদি এঁরা সবাই করোনা মহামারী রুখতে কেন্দ্রকে ১০ লক্ষ করে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান নেন, তা হতে পারে ৫৩৩কোটি ৬০লক্ষ টাকা৷ এছাড়াও দেশে মেয়র, মেয়র পরিষদ, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, সভাধিপতি, পঞ্চায়েত প্রধান রয়েছেন৷ রয়েছেন শিল্পী, খেলোয়াড়, শিল্পপতিরা৷ কেন বারবার মধ্যবিত্ত জনতার কাছে অনুদান চাওয়া হবে৷ কেন জনপ্রতিনিধি, শিল্পী, শিল্পপতিরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন না৷’’ যদিও করোনা মহামারী রুখতে একাধিক জনপ্রতিনিধি, শিল্পী, শিল্পপতি, বেসরকারি সংস্থা সরকারকে সহযোগিতা করে চলেছেন৷ তবে, অধিকাংশ এখনও নীবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *