শিলিগুড়ি: Give and Take । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে এই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে চাইছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবু উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র। পাহাড়ের শীতল বাতাস তার হৃদয়ে বয়ে চলে। রাজ্যে যে’কজন বাম জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনি। প্রাক্তন পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রীও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা তার কথা মনে দিয়ে শোনেন, সম্মান করেন। সম্প্রতি অশোক বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য কিছু রাজ্যের, কেন্দ্রের কাছে জিএসটি বাবদ অর্থ প্রাপ্য। বামফ্রন্ট রাজ্যের সেই দাবিকে সমর্থন করে। কিন্তু, রাজ্যও পুরসভাগুলির প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দিক।
অশোকবাবু বলেছেন লকডাউনের পর রাজ্যের পুরসভাগুলির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। উন্নয়নের কাজ থমকে। রাজ্য সরকার করোনা প্রতিরোধেও টাকা দেয়নি। শিলিগুলি পুরোনো শহর। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত। রাজ্য সরকার অর্থ না দিলে মেরামত করা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানান হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে ‘পারফরমান্স গ্রান্ট’ বা কর্ম দক্ষতার অনুদান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন এবং রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকা চাইছেন অশোক।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের বাকি টেনেটুনে আট মাস। বাম-কংগ্রেস জোটের পথ প্রসস্থ। শিলিগুড়িতে বাম-কংগ্রেস মিলিত ভাবে পুরসভা চালিয়েছে। কিন্তু, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাম – কংগ্রেস জোট সেভাবে দানা বাঁধেনি। লোকসভায় আসন সমঝোতা হতে পারেনি বিভিন্ন জায়গায়। ছোট বাম শরিকেরাও কংগ্রেসকে সহ্য করতে পারেনি। তবে, অশোক ভট্টাচার্যের মত নেতা সফল ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে পুরসভা চালিয়েছেন। শিলিগুড়ি ভোটে জেতার মডেল হতে পেরেছে। সরকার চালানোর মডেল হতে পারবে কী?