বারাকপুর: লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের দুর্গ বাঁচানোর পরীক্ষায় হার শিকার করতে হল অর্জুন সিংকে৷ ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো অর্জুনের বিরুদ্ধে আজ অনাস্থা আনে তৃণমূল৷ ২২-১১ ভোটে অর্জুনকে পরাস্ত করা হয়৷ অনাস্থা ভোটে পরাজয়ের পর ভাটপাড়ার পুরপ্রধানের পদ থেকে অপসারিত অর্জুন৷ নিজের পদ থেকে অপসারণের পর দলীয় কর্মীদের নিয়ে পুরসভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি৷
আজ, ভাটপাড়া পুরসভা দখলে তৃণমূলের তরফেও প্রস্তুতি শুরু হয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই৷ অনাস্থা ভোট ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, সেই কারণে সপ্তাহের প্রথম দিয়ে পুরসভার সমস্ত কাজ বন্ধ রেখে দু’টি গেলে ঝোলানো হয়েছে তালা৷ নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ পুরসভা ঘিরে রেখেছে ব়্যাফ৷
সোমবার এই অনস্থা ভোটের আগে সংবাদ মাধ্যমে ভাটপাড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিংয়ের মন্তব্য, ‘‘এটা বেআইনি ভাবে করা হচ্ছে৷ কারণ, ১৫ দিনের আগেই আজ অনাস্থা আনা হয়েছে৷ গোপন ব্যালটের পরিবর্তে ধ্বনি ভোটে অনাস্থা আনা হচ্ছে৷ এটা বেআইনি৷ আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করব৷’’ সুত্রের খবর, অনাস্থা ভোটের হারের পর হাইকোর্টে যেতে পারেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং৷
বিধায়ক তথা ভাটপাড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগদান করেছেন। গত মাসেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন কাউন্সিলররা৷ ২১ জন কাউন্সিলর সম্মিলিত হয়ে খসড়ায় সই করে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি পাঠানো হয় মহকুমা শাসককের কাছে৷ আজ, সেই চিঠির ভিত্তিতে অনাস্থা আনা হয় তৃণমূলের তরফে৷
অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগদানের পুরবোর্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছিল৷ তাঁর হাত ধরে ২২ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় জল ঢেলে একত্রিত হন ২১ জন কাউন্সিলর৷
নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানকে বৈঠক ডাকতে হবে৷ তিনি না ডাকলে ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ডাকবেন৷ তারপর ১৫ দিনের মধ্যে মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানে আস্থা ভোট হয়৷ অর্জুনের অভিযোগ, ১৪ দিনের মাথায় তৃণমূল বৈঠক ডেকে অনাস্থা আনতে চলেছে৷ ভাটপাড়া পুরসভায় কাউন্সিলরের সংখ্যা ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩৪-এর ৩৩ জন তৃণমূলের, একজন সিপিএমের কাউন্সিলর৷ এদিনের অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেন ২২ জন কাউন্সিলর৷