আজ বিকেল: মদন মিত্র মাতাল, রাতে তো কথাই বলতে পারেন না। সারদা কাণ্ডে জেল খেটেছেন, নারদায় টাকা নিয়েছেন। ওঁর জামানত বাজেয়াপ্ত করব। বীরভূমের জনসভা থেকে দুপুরেই মদনবাবুকে ভাটপাড়া উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী।দুপুরে গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই পালটা জবাব দিলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং।
তৃণমূলের তরফে ভাটপাড়ার স্ট্রং ম্যানকে পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে। এক নেতাবলেছেন, কে কার জামানত বাজেয়াপ্ত করবে তা সময় এলে দেখা যাবে। অর্জুন সিং তো সেদিনের নেতা, আর আমাদের দাদা কয়েক দশক ধরে রাজনীতি করছেন। গুরু গুরুই থাকে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কামারহাটি থেকে হেরে গিয়েছিলেন মদনবাবু। সে বার জেল থেকে ভোটে লড়েছিলেন তিনি। সিপিএম প্রার্থী মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে হারতে হয়েছিল এই পোড় খাওয়া নেতাকে। তারপর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছেন।এদিকে ভাটপাটড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। সে কারণেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। অনেকের মতে, ভাটপাড়ায় অর্জুনের সঙ্গে টক্কর দিতে গেলে তেমনই একজন কাউকে দরকার যে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই সব দিক বিবেচনা করেই প্রার্থী করেছেন দক্ষিণ কলকাতার এই নেতাকে।
তবে মনে হচ্ছে মদন বনাম অর্জুন নয় এই নির্বাচনী লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল নেত্রী ও অর্জুন সিংয়ের মধ্যে সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে কে জেতেন সেটাই দেখার।