নয়াদিল্লি: আগামী বিধানসভা নির্বাচন স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিকভাবে হয়, এই আর্জি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে একাধিকবার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে বারবার একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেও হাজির হয়ে যাচ্ছে তারা। তবে এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, এবার প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হতে পারবেন নির্দিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও ভোটার। ২০০৯ সালের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে, কোন বুথে প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে ওই বুথ বা তার লাগোয়া কোন বুথের ভোটার হতে হত। কিন্তু এবার আর সেই নিয়ম প্রযোজ্য হচ্ছে না।
এর আগে অনেকবার এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল কোন বুথে প্রার্থীর এজেন্ট দিতে পারছে না। অথবা অনেক সময় কেউ রাজনৈতিক হিংসার কারণে প্রার্থীর এজেন্ট হতে চান না বা ভয় পান। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কারণ নির্দিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার হলেই এজেন্ট হওয়া যাবে তাই নির্দিষ্ট এলাকা বা বুথের ভোটারের খোঁজ করতে হবে না। গতকাল বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও কমিশনের এই নতুন নিয়মের প্রশংসা করেন। তিনি মন্তব্য করেন, কমিশনের এই নতুন নিয়ম আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের স্বচ্ছতা আনবে।
আরও পড়ুন- টিকিটের খোঁজে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে ‘বঞ্চিত’ হলেন যারা!
ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য একাধিক নিয়ম এবারে যেমন শিথিল করেছে নির্বাচন কমিশন, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম লাগু করা হয়েছে। যেমন বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক কেন্দ্রের বুথ যেন একতলায় হয়। এছাড়াও ভোট দানের সময়ের বৃদ্ধি ঘটনা হয়েছে। যদিও এই সময় বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে একাংশে।