কলকাতা: বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ আর তাঁর এবারের সফর মূলত সাংগঠনিক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করার জন্যই৷ দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ অনেকেই৷ তা নিয়ে অমিত শাহ কথা বলবেন বলে সূত্রের খবর৷
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যস্তরে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে রদবদল করেছে বিজেপি৷ সেক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে দলে আসা মুকুল রায় এবং অনুপম হাজরাকে কে জায়গা করে দিতে পদ থেকে সরতে হয়েছে দীর্ঘদিনের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে৷ তা নিয়ে দলের নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷ দিন কয়েক আগেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক দেব সাহা৷ তা নিয়েও গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে৷ এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতি রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ৷ দলের নির্দিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি৷
দলীয় কোন্দল ভুলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিতে পারেন শাহ। বিশেষ করে বাঁকুড়া ও কলকাতার নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। দিন কয়েক আগে দলের ওপর তলার ওপর অভিমানে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান। একইসঙ্গে কথা বলতে পারেন দলের পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গেও। এছাড়াও এ রাজ্যের অরাজনৈতিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও আলাপচারিতা করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তাঁর সফরের আগে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে।
দেশ জুড়ে একের পর এক রাজ্য বিজেপির দখলে এলেও পূর্ব ভারতে এখনও পর্যন্ত সেভাবে পাপড়ি মেলেনি পদ্মফুল। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পরেই গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে পদ্ম ব্রিগেড। তার আগে ঘর গোছাতে প্রস্তুতি জোরদার করেছে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভাল ফল করেছে বিজেপি। এ রাজ্যে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ২টি আসন., ২০১৯ নির্বাচনে তা বেড়ে হয়েছে ১৮। এবার বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর তারা।
অন্যদিকে, জঙ্গলমহলের মতো শক্তঘাঁটি হারিয়েছে ঘাসফুল শিবির। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সংগঠন মজবুত করেছে বিজেপি। ফলে এবারের নির্বাচনে যথেষ্ঠ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। পূর্ব ভারতের গেটওয়ে বাংলা, এমনটাই বলা হয়। সেক্ষেত্রে বাংলা দখল না করা পর্যন্ত পূর্ব ভারতে নিজেদের আধিপত্য যে কায়েম করা যাবে না তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতা। সেই জন্যই জেপি নাড্ডা, অমিত শাহের মতো শীর্ষ নেতাদের এনে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড।