বোলপুর: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে বিজেপি। বোলপুরে যখন অমিত শাহ সভা করছেন, তখন বাংলার জেলায় কাজ করে চলেছেন তাঁর সপ্তরথী। এঁরা সবাই ভিনরাজ্যের বিজেপি নেতা। প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় বা রাজ্য স্তরের রাজনীতিতে সামনের সারিতে রয়েছেন। বাংলার ভোট নিয়ে এঁদের বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ।
তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন উত্তর প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। শনিবার হুগলির চুঁচুড়ায় সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে দলের ‘জনসম্পর্ক’ কর্মসূচিতে যোগ দেন এই বিজেপি নেতা। এছাড়া রয়েছেন ৫ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁরা হলেন অর্জুন মুন্ডা, সঞ্জীবকুমার বালিয়ান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, মুকেশ মাণ্ডবিয়া, প্রসাদ সিংহ পটেল ও মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। জানা গিয়েছে এই সপ্তরথীর উপর রাজ্যের ৬টি করে লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব রয়েছে। শনিবার রাতে রাজারহাটের হোটেলে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে যে বৈঠক হয়, সেখানেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি এঁদের কাজের ভার দেন অমিত শাহ।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হাজিরও ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁকে বাংলার ভোট যুদ্ধে সক্রিয় না করলেও নির্বাচনের আগে তাঁকে ঘনঘন বাংলায় আসতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সপ্তরথীকে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে বাংলায় আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। সপ্তাহের অন্যান্য দিন দিল্লি বা নিজের রাজ্যে কাজ থাকলেও শনি ও রবিবার তাঁরা যেন বাংলায় আসেন তা জানানো হয়েছে। রাজ্য বিজেপিকেও এই নিয়ে কর্মসূচি ঠিক করতে বলা হয়েছে।
এদিন হুগলিতে কাজে নেমে পড়েন মৌর্য। তাঁকে হাওড়া ও হুগলি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবার তিনি চুঁচুড়ার লোহাপট্টিতে স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষিকেষ পল্লিতে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এক দলিত পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেন মৌর্য। এর মাঝে আবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলকে একহাতও নেন তিনি। কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সফর করতে শুরুও করেছেন। নরোত্তম মিশ্র বর্ধমানে এবং সঞ্জীবকুমার বালিয়ানকে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গে। এরই মধ্যে রবিবারই রাজ্যে আসছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি ভানতী শ্রীনিবাসন। যদিও তাঁর কর্মসূচি নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি রাজ্য বিজেপি।